সিলেট: সিলেট সীমান্তের ওপারে ভারতের মেঘালয়ের পূর্ব জৈন্তিয়া হিলস জেলায় ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তে রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করা হয়েছে। পূর্ব জৈন্তিয়া হিলস জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শ্রী শিবাংশ অবস্থির সই করা আদেশ অনুযায়ী ১৬৩ ধারায় এ কারফিউ জারি করা হয়।
শনিবার (১০ মে) সিলেট জেলা প্রশাসক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে কারফিউ জারির বিষয়টি সিলেটের জেলা প্রশাসক শের মোহাম্মদ মাহবুব মুরাদকে লিখিত অবহিত করেছেন পূর্ব জৈন্তিয়া হিলস জেলা ম্যাজিস্ট্রেট।
এদিকে, বিজিবি ১৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল জুবায়ের আনোয়ার সারাবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, এ বিষয়ে বিজিবির পক্ষ থেকে সীমান্তবাসীকে সতর্ক করা হয়েছে।
কারফিউ আদেশে বলা হয়েছে, প্রতিদিন রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত রাত্রিকালীন কারফিউ কার্যকর থাকবে। কারফিউটি সীমান্তের শূন্য রেখা থেকে ৫০০ মিটার পর্যন্ত এলাকায় প্রযোজ্য হবে। এ কারফিউর আওতায় যেসব কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে, তা হলো, আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ বা অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের উদ্দেশ্যে চলাফেরা। পাঁচ বা ততোধিক ব্যক্তির অবৈধ জমায়েত, মিছিল বা অস্ত্র, লাঠি, রড ও পাথরসহ অন্যান্য অস্ত্রোপযোগী বস্তু বহন, গবাদিপশু, চোরাচালান পণ্য, সুপারি, পানের পাতা, শুকনো মাছ, বিড়ি, সিগারেট, চা পাতা ইত্যাদি পাচার।
আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, সীমান্ত এলাকা সম্পূর্ণ বেড়াবিহীন হওয়ায় এটি চোরাচালানকারী, অবৈধ অনুপ্রবেশকারী এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সদস্যদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ প্রবেশ পথে পরিণত হয়েছে।
ফলে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (৮ মে) সকাল ১১টার দিকে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার খাসিয়া হাওর এলাকার ১২৭৮-১২৭৯ পিলারের মধ্যে যৌথ জরিপকে কেন্দ্র করে ভারতীয় বিএসএফ’র সঙ্গে বাংলাদেশের বিজিবি ও স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। উপজেলার নলজুরির আমস্বপ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।