Saturday 10 May 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘তালবাহানা নয়, আওয়ামী লীগকে চির দিনের জন্য নিষিদ্ধ করতে হবে’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১০ মে ২০২৫ ১৯:০০ | আপডেট: ১০ মে ২০২৫ ২০:২০

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে গণমিছিলপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ

ঢাকা: ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমদ বলেছেন, কোনো তালবাহানা নয়, আওয়ামী লীগকে চিরদিনের জন্য নিষিদ্ধ করতে হবে। নির্বাহী আদেশে নয়, সংবিধান সংশোধন করে স্বৈরাচারী, খুনি, হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগকে শুধু নিষিদ্ধ নয় দৃষ্টান্তমূলক বিচার করতে হবে।

শনিবার (১০ মে) বিকেলে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে গণমিছিলপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

ইউনুছ আহমদ বলেন, ‘যারা জুলাই আগস্টে স্বৈরাচারের পতনে কোনো রকম ভূমিকা পালন করেনি, তারা আজ আওয়ামিলীগ নিষিদ্ধ চায় না। বরং আওয়ামী লীগের ১৭ বছরের অন্যায়কে ঢেকে তাদেরকে পুনর্বাসনসহ বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা করছে।’

তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারকে করিডোর দেওয়ার যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তা থেকে অন্তর্র্বতী সরকারকে ফিরে আসতে হবে। মানবিক করিডোরে নামে পার্বত্য অঞ্চলকে বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার যেকোনো ষড়যন্ত্র এদেশের মানুষ রুখে দেবে।’

ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, ‘এই সরকারকে নৈতিক সমর্থন দিয়েছি আমরা। ৫ আগস্টেই তো ছাত্র-জনতা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। এখন বাকি শুধু গ্যাজেট প্রকাশ করা। এটা কারার জন্য আপনারা এত সময় ক্ষেপণ, তালবাহানা করছেন কেন?’

তিনি বলেন, ‘আজ ৯ মাস পর কেন আওয়ামী ফ্যাসিবাদকে নিষিদ্ধ করার জন্য আমাদের আবার মাঠে নামতে হল? উপদেষ্টাদের তাহলে কাজ কী? জুলাই বিপ্লবকে ধারণ করেই সংস্কার শেষে নির্বাচন দিতে হবে। নির্বাচনের আগে ফ্যাসিবাদ ও তাদের দোসরদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। তাদেরকে মাঠে রেখে নির্বাচন করলে নির্বাচনে সহিংসতা ঘটবে।’

বিজ্ঞাপন

সভাপতির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন ঢাকা উত্তরের সভাপতি শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেন, ‘গত ১৭ বছর যারা আওয়ামী লীগকে অন্যায়, জুলুম, নির্যাতন, চাঁদাবাজি, দখলদারি, চুরি, ছিনতাই, লুটতরাজ, হাট, মাঠ-ঘাট দখল, সিন্ডিকেট, টাকা পাচার করতে প্রশাসনিক ও আইনি সহায়তা দিয়েছে তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এখনও যারা স্বৈরাচার ও তাদের দোসরদের পালাতে সহায়তা করছে তাদের বিচারও স্বৈরাচারের মতোই হবে।’

সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, প্রকৌশলী আশরাফুল আলম, মুফতি সৈয়দ এসহাক, মুহাম্মদ আবুল খায়ের, আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন, হাজী আনোয়ার, এম এইচ মোস্তফা, মাওলানা মুহাম্মাদ আরিফুল ইসলাম, মুফতি ফরিদুল ইসলাম, মাওলানা কে এম শরিয়ত উল্লাহ, ইঞ্জিনিয়ার মুরাদ হোসেন, নুরুজ্জামান সরকার, মুফতি মো. মাছউদুর রহমান, যুবনেতা মুফতি মানসুর আহমাদ সাকী, ছাত্রনেতা মুনতাছির আহমাদ, মুফতি নিজাম উদ্দিনসহ আরও অনেকে।

সমাবেশ শেষে অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমদের নেতৃত্বে হাজার হাজার মানুষের এক বিশাল মিছিল শাহবাগে গিয়ে যুক্ত হয়।

সারাবাংলা/এজেড/এমপি

অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ ইসলামী আন্দোলন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর