ঢাকা: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, মহামানব বুদ্ধ ছিলেন অহিংস, ন্যায় ও সাম্যনীতির এক চিরকালীন কণ্ঠস্বর। তার অনুশাসনও ছিল আত্ম জয় ও আত্ম প্রতিষ্ঠার পক্ষে। তার সমবেদনা আলোকিত শিক্ষার প্রতিফলন।
বৌদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে শনিবার (১০ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেছেন, ‘বুদ্ধের বাণী কালের সীমা অতিক্রম করে বিভ্রান্ত মানুষকে সত্যের পথ দেখায়, কল্যাণের পথে যেতে প্রেরণা যোগায়। শোক, সংকট ও ভ্রান্তির আবর্তকে অতিক্রম করে সত্য ও মানব অধিকারের পথে মানুষকে আহ্বান করে।’
তিনি বলেন, ‘গৌতম বুদ্ধ বুদ্ধত্ব লাভ করে মানুষকে মানুষ এবং প্রাণীকে প্রাণী রূপেই জানতেন এবং সব প্রাণসত্তার মধ্যেই যে কষ্টবোধ আছে তা তিনি মর্মে মর্মে উপলব্ধি করতেন। মানুষ নিজের অভ্যন্তরীণ শান্তি ও আলোর পথপ্রাপ্ত হয় মহামতি বুদ্ধের জ্ঞানের বাণীতে। তিনি প্রচলিত জাতিভেদ প্রথা বিলুপ্ত করেন। তিনি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানুষের নিকট সাম্য ও মুক্তির বাণী তুলে ধরে জগতে এক নুতন ধর্মাদর্শ প্রতিষ্ঠা করেন। মানুষের মর্যাদা চিহ্নিত হবে কর্মে এবং যোগ্যতায়; জন্ম বা বংশ মর্যাদা দিয়ে নয়। ধর্ম প্রচারের প্রথম থেকেই তিনি এভাবে মানুষের মূল্যবোধকে জাগ্রত করার প্রচেষ্টায় নিবেদিত হন।’
তারেক রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশের নাগরিকরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বোধ লালন করে আবহমানকাল থেকে। বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী দর্শনই এ দেশের সকল বর্ণ, ধর্মীয় সম্প্রদায় ও নৃগোষ্ঠীকে এক নিবিড় বন্ধনে আবদ্ধ করে। সহাবস্থান ও সম্প্রীতি এ জাতির এক সুমহান ঐতিহ্য। আমরা ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এক অভিন্ন জাতি। আমরা সবাই বাংলাদেশি। ধর্মীয় সহ্ষ্ণিুতা এবং সকল ধর্মের মর্যাদা রক্ষায় আমরা সব সময়ই সচেষ্ট থেকেছি এবং আগামীতেও সে প্রয়াস অব্যাহত থাকবে।’