ঢাকা: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘সংবিধানে বাক স্বাধীনতা সমুন্নত আছে কিন্তু বারবার ফ্রিডম অব স্পিচ ক্ষুণ্ন করা হয়েছে।’ এ সরকার ফ্রিডম অব স্পিচকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে চায় বলেও জানান তিনি।
সোমবার (১২ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) আয়োজিত ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
শফিকুল আলম বলেছেন, ‘সাংবাদিকদের ন্যূনতম বেতন ৩০ হাজার টাকার নিচে হওয়া উচিত নয়। যদি এই বেতন দিতে না পারেন, তাহলে পত্রিকা বন্ধ করে দিন।’
বাংলাদেশের মুক্ত গণমাধ্যম প্রসঙ্গে প্রশ্ন করায় শফিকুল আলম বলেন, ‘সরকারি অফিসে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার নিশ্চিতে নির্দেশনা দেওয়া আছে এবং প্রধান উপদেষ্টার অফিস সাংবাদিকদের সব তথ্য সরবরাহ করছে।’
তিনি বলেন, ‘আমি নিজেও সবসময় গণমাধ্যমকে সময় দেই। গতকাল রাতেও একজন সাংবাদিক আমার বাসায় এসেই আমার সাক্ষাৎকার নিয়েছে। যখনই কোনো গণমাধ্যমের কোনো সাংবাদিক আমাকে ফোন দিয়েছে আমি সময় দিয়েছি।’
এ সময় আওয়ামী সরকারের সময়ের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সে সময় আপনারা কেউ স্বাধীনভাবে কথা বলতে পেরেছিলেন? কেউ কথা বললেই তাকে গুম করা হয়েছে। জেলে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমরাতো সব প্রশ্নের জবাবই দেই।’
সংবাদ কর্মীদের অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা প্রসঙ্গে সফিকুল আলম বলেন, ‘সংবাদ কর্মীদের সুবিধার বিষয়ে ইউনিয়নগুলোর কথা বলা উচিত। তারা মালিকদের সঙ্গে কথা বলবে। কিন্তু আমাদের ইউনিয়নগুলো গত ১৫ বছরে পূর্বাচলের প্লট নিয়ে ব্যস্ত ছিল। আমাদের সাংবাদিকদের তারা ভয়াবহভাবে ঠকিয়েছে।’
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম বলেন, ‘এ সরকার কোনো গণমাধ্যম বন্ধ করেনি, যদিও অনেক গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে, তারা অনেকেই পদে আছেন। তাদের প্রতিরোধটা সাংবাদিকদের ভেতর থেকেই আসা উচিত। অনেক সাংবাদিক ৩০০-৪০০ কোটি টাকা কামিয়েছেন। মতাদর্শ থাকলেও যাতে কেউ চামচামি না করেন। কেউ যেন সাংবাদিকতার নামে চামচামি না করেন। অনেক সাংবাদিক অভ্যুত্থানের পর বিদেশ চলে গেছেন। মানুষকে সঠিক তথ্য দেওয়াই সাংবাদিকতা। সাংবাদিকতার ব্যর্থতার কারণে একটা কমিশন গঠন করা হয়েছে। ইউএন অফিসকে একটা চিঠি দেওয়া হবে, যাতে তারা ইনডিপেনডেন্ট এক্সপার্ট দ্বারা শেখ হাসিনার আমলে সাংবাদিকতায় কতটুকু ক্ষতি হয়েছে তা তদন্ত করে দেখতে।’
ডিএফপির (তথ্য অধিদফতর) বিরুদ্ধে কথা বলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অনেক অনিয়ম চলছে। কিছু আন্ডারগ্রাউন্ড পত্রিকা অন্যদের সংবাদ কপি করে ছাপায়, যা কখনো ভালো সাংবাদিকতা হতে পারে না।’
অনুষ্ঠানে ডিআরইউ সভাপতি আবু সালেহ আকন, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন সোহেলসহ সংগঠনটির নির্বাহী কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।