ঢাকা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, পুলিশের হাতে আর মারণাস্ত্র থাকবে না। তাদের কাছে থাকা সব মারণাস্ত্র জমা দিতে হবে।
সোমবার (১২ মে) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক শেষে সংবাদ ব্রিফিং এ তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমরা একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই অস্ত্র থাকবে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যদের হাতে। তাদের কাজ কিন্তু অন্য পুলিশের থেকে একটু ভিন্ন।’
এ সময় তিনি কথা বলেন গার্মেন্টস কারখানা নিয়েও। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘ঈদের আগে যেন সকল কর্মীদের বেতন পরিশোধ করা হয়, সেটা মালিকদের বলা হয়েছে। যারা বেতন পাওয়ার যোগ্য তাদেরকে বেতন দিয়ে দিতে হবে। তবে অবৈধ অন্যায্য দাবি নিয়ে যদি কেউ রাস্তায় নামে তাহলে তা হতে দেওয়া হবে না। তাদের বৈধ দাবি মালিকদের অবশ্যই পরিশোধ করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গরুর হাটের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ওই সময়ে মলমপার্টি চুরি, ছিনতাই রোধে সতর্ক থাকতে আনসার নিরাপত্তায় রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রতিটি হাটে ১০০ করে আনসার রাখার কথা বলা হয়েছে। যাত্রীরা যাতে নির্বিঘ্নে ঘরে ফিরতে পারেন ঈদের সময় সেজন্য হাইওয়ে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘এই ঈদ অন্যরকম। কারণ যাত্রী যাবে একদিক দিয়ে, আরেক দিক থেকে গরুর ট্রাক চলাচল করবে। সেজন্য সড়কে জ্যামও থাকে। সড়কে চাঁদাবাজি যাতে না হয় সেজন্য পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’ কোথায় চাঁদাবাজি হয় সেটা জানাতে সাংবাদিকদেরও তিনি অনুরোধ করেন।