Tuesday 13 May 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সুপারনিউমারারি পদোন্নতির দাবি বঞ্চিত চিকিৎসকদের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৩ মে ২০২৫ ২০:৩১ | আপডেট: ১৩ মে ২০২৫ ২০:৩৪

চিকিৎসকদের সংবাদ সম্মেলন

ঢাকা: ফিটলিস্ট থাকার পরও ৩৩তম বিসিএস এর সহকারী অধ্যাপক পদোন্নতি যোগ্য প্রায় ৫০০ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে অন্যায়ভাবে বঞ্চিত করা হয়েছে বলে দাবি করছেন ভুক্তভোগী চিকিৎসকরা। তাদের দাবি, ২০২৪ সালে ফিটলিস্টে যোগ্য সবার সংখ্যা হিসেব করেই সুপার নিউমারারির সুপারিশ করা হয়েছিল। এখন দ্রুত তাদের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন বঞ্চিত চিকিৎসকরা।

মঙ্গলবার (১৩ মে) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আযোজিত সংবাদ সম্মেলনে বৈষ্যমের শিকার সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি যোগ্য ২০২৪ ফিটলিস্টে থাকা ৩৩ বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পক্ষে এ দাবি জানান ডা. তানজিন হুদা।

বিজ্ঞাপন

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদ সরকারের সময়ে জনগণের বিশেষায়িত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতকারী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ছিলেন পদোন্নতি বঞ্চিত এবং হতাশাগ্রস্ত। ফলে সাধারণ জনগণের স্বাস্থ্যসেবা হয়েছে বাধাগ্রস্ত, অধিকার হয়েছে ক্ষুন্ন, বিশেষায়িত চিকিৎসা সেবার জন্য জনগণ হয়েছিল ভারতমুখি। জনগণের বিশেষায়িত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতকরণে মুখ্য অবধারক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা দীর্ঘদিন যাবত আছেন পদোন্নতি বঞ্চিত।’

ডা. তানজিন হুদা বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ২০২৪ সালের ২৭ অক্টোবরের মধ্যে সকল পদোন্নতি যোগ্য স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে অনলাইনে তথ্য হালনাগাদ করতে বলা হয়। পরবর্তীতে প্রাপ্ত তথ্যেরভিত্তিতে ডিসেম্বর মাসে বিভিন্ন সাবজেক্টের সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি যোগ্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের ফিটলিস্ট প্রকাশ করা হয়। ২০২৪ সালের সর্বশেষ হালনাগাদ ফিটলিস্টের যোগ্য স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের সংখ্যার ওপর ভিত্তি করে ৭৫০০ সুপারনিউমারারি পদ সৃজনের মাধ্যমে পদোন্নতির আশ্বাস দেওয়া হয়। ফিটলিস্ট থাকার পরও ৩৩ বিসিএস এর সহকারী অধ্যাপক পদোন্নতি যোগ্য প্রায় ৫০০ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে অন্যায়ভাবে বঞ্চিত করা হচ্ছে। অথচ ২০২৪ সালে ফিটলিস্টে যোগ্য সবার সংখ্যা হিসেব করেই সুপার নিউমারারির সুপারিশ করা হয়েছিল। কিন্তু এখন বৈষম্যের শিকার করা হয়েছে ৩৩ বিসিএস এর কিছু সংখ্যক চিকিৎসকরা।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘ফিটলিস্টে নাম আসার জন্য তথ্য দেওয়ার সময় শেষ হওয়ার পরও গত জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি ও মার্চেও তথ্য হালনাগাদ করে পদোন্নতির জন্য সুপারিশকৃত হয়েছে, যারা যথা সময়ে যোগ্য ছিল না। ফলে অন্যায়ভাবে প্রায় ৫০০ জন চিকিৎসককে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এই ৪৯২ জন চিকিৎসক ৩৩তম বিসিএস এর। একই বিসিএস ব্যাচের অধিকাংশকে সহকারী অধ্যাপক হবার সুপারিশ করা হলেও ৪৯২ জনকে বৈষম্যের শিকার করা হচ্ছে। অথচ অন্যান্য ক্যাডারের সুপারনিউমারারি পদোন্নতি হয়ে থাকে ব্যাচভিত্তিক।’

তিনি আরও বলেন, ‘চাকরির ১১ বছর প্রান্তিক পর্যায়ে সেবা দেওয়ার পরও ৩৩তম বিসিএসের একাংশ পদোন্নতি না পাওয়ায় হতাশ ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। ৩৩তম বিসিএস এর সবাইকে পদোন্নতি দিলে সরকারের আর্থিক কোনো ক্ষতি হচ্ছে না। বরং তারা বৃহৎ পরিসরে জনগণকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা সেবার সুযোগ পাবেন এবং শিক্ষক হিসেবে ভবিষ্যৎ চিকিৎসক গড়া ও শক্তিশালী রেফারেল সিস্টেম গড়ার কারিগর হিসেবে ভূমিকা রাখতে পারবেন।’

ডা. তানজিন হুদা বলেন, ‘সহযোগী অধ্যাপক পদে ২ ধাপে ১৩৯৮ সুপার নিউমারারি পদোন্নতির সুপারিশ করা হয়েছে। যেগুলাতে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি দিলে শুন্য পদে পদোন্নতির সুযোগ সৃষ্টি হয় তাতে ৩৩তম বিসিএসের একাংশের বঞ্চিত থাকার কথা না। দীর্ঘদিন যাবত পদোন্নতি বঞ্চিত ও সহকারী অধ্যাপকের ফিটলিস্টে যোগ্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদেরকে প্রথমবারের মতো হতে যাওয়া সুপারনিউমারারি পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত করে বৈষ্যমের শিকার না করার জন্য প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

সারাবাংলা/এমএইচ/এইচআই

চিকিৎসক পদোন্নতি সুপারনিউমারারি