ঢাকা: জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় তিন বছরের সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে সাজার বিরুদ্ধে তার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন আদালত।
বুধবার (১৪ মে) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের একক বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এদিন আদালতে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এসএম শাহজাহান, ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান।
এসএম শাহজাহান সাংবাদিকদের বলেন, ডা. জুবাইদা রহমানের তিন বছরের সাজার বিরুদ্ধে আপিল আবেদন করেছি। শুনানির জন্য আদালত তা গ্রহণ করেছেন। একইসঙ্গে নিম্ন আদালতে নথি তলব দিয়েছেন। এ ছাড়া আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নিজের বা আইনজীবীর জিম্মায় জামিন দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ডা. জুবাইদার বিরুদ্ধে করা মামলাটি দুরভিসন্ধিমূলক। এ মামলায় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগও প্রমাণিত হয়নি। জ্ঞাত আয়বহির্ভূত কোনো সম্পদ তিনি অর্জন করেননি। সব সম্পত্তিই তার বৈধ উপায়ে অর্জিত। শুধুমাত্র হেয়প্রতিপন্ন ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে দূরে রাখতেই এ মামলা করা হয়েছে। এমনকি তিনি সাজা পেয়েছেন। তবে পরিপূর্ণ শুনানিতে জুবাইদা ছাড়াও তারেক রহমানকেও খালাস করতে পারব।
এর আগে, মঙ্গলবার (১৩ মে) তিন বছরের কারাদণ্ডের আপিলের জন্য জোবাইদা রহমানকে ৫৮৭ দিনের বিলম্ব মার্জনা করেন হাইকোর্ট।
২০২৩ সালের আগস্টে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ৯ বছর ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানের তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন আদালত।
২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর আপিলের শর্তে জুবাইদা রহমানের সাজা স্থগিত করে সরকার। ১৭ বছর পর ৬ মে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেশে ফেরেন তিনি।
উল্লেখ্য, সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান, জুবাইদা রহমানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পরের বছর তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।