ঢাকা: ডিএমপির ক্যান্টনমেন্ট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুল আলিমের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়া, স্বেচ্ছাচারিতা, এবং ভূমিদস্যুদের পক্ষ নিয়ে নিরপরাধদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা রেকর্ড করার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ প্রধান আইজিপির দফতরে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন এক ভুক্তভোগী।
ভুক্তভোগী মো. আরিফুল আলী অভিযোগ করেন, গত বছরের ২৮ অক্টোবর তাকে এবং আরও ১৬ জনকে আসামি করে একটি মিথ্যা মামলা রেকর্ড করেন ওসি আলিম। অথচ মামলার বাদী বাবুল হোসেন নিজেই একজন চিহ্নিত চাঁদাবাজ ও ভূমিদস্যু বলে দাবি আরিফুলের।
সেনাবাহিনীর হাতে আটক, পরে মিথ্যা মামলা
২০২৪ সালের ২৩ অক্টোবর সেনাবাহিনীর সদস্যরা বাবুল হোসেনকে হাতেনাতে চাঁদা দাবি করার সময় আটক করে এবং ক্যান্টনমেন্ট থানায় হস্তান্তর করে। তার বিরুদ্ধে একটি চাঁদাবাজির মামলাও দায়ের হয়। জামিনে বেরিয়ে এসে তিনি উলটো একটি সাজানো অভিযোগে আরিফুলসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন, যা ওসি আলিম তদন্ত ছাড়াই নিয়েছেন বলে অভিযোগ।
ঘুষে চার্জশিট থেকে বাদ, প্রভাবশালীদের রক্ষা
অভিযোগপত্রে বলা হয়, ওসি আলিম আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী দীলিপ আগারওয়াল ও আসলাম সেরনিয়াবাদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ নিয়েছেন। একইভাবে অনলাইন গ্রুপের এমডি আখতারুজ্জামানের কাছ থেকেও ঘুষ নিয়ে তাকে চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়া হয়।
আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে দখল সহায়তা
ইসিবি চত্বরের একটি ফ্ল্যাট নিয়ে চলমান মামলায় আদালতের স্থিতাবস্থা থাকলেও, জনৈক শাকিলকে দখল দিতে সহায়তা করেন ওসি। অভিযোগ রয়েছে, ভুক্তভোগী পরিবারকে ভয়ভীতি দেখানো হয় এবং থানার কনস্টেবল সাইফুলের মাধ্যমে অর্থ তুলে দেওয়া হয় ওসিকে।
আইজিপির কাছে তদন্তের দাবি
আরিফুল আলী বলেন, ‘পুলিশ যদি দুর্বৃত্তের পক্ষ নেয়, তবে সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে?’ তিনি ওসি আলিমের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত এবং তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় অব্যাহতির দাবি জানান।
রিপোর্ট প্রস্তুতকালে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ওসি মো. আব্দুল আলিমের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।