Wednesday 11 Jun 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ফারাক্কা লংমার্চ পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে অনুপ্রেরণা: বাংলাদেশ ন্যাপ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৫ মে ২০২৫ ১৭:২৪ | আপডেট: ১৫ মে ২০২৫ ১৮:১৬

ঢাকা: ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চ ভারতের পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই ও সংগ্রামের অনুপ্রেরণা বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।

ঐতিহাসিক ফারাক্কা লং মার্চের ৪৯তম বার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৫ মে) বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা এ মন্তব্য করেন।

জেবেল রহমান গানি ও এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, ‘মরণবাঁধ ফারাক্কার কারণে আজ বাংলাদেশের এক-তৃতীয়াংশ উত্তরাঞ্চল মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে। ভারতের কাছ থেকে অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় কোনো দলীয় সমস্যা নয়। এই সমস্যা দেশের এবং সমগ্র জাতির।’

বিজ্ঞাপন

তারা বলেন, ‘‘ফারাক্কার ভয়াবহতা সম্পর্কে মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ঠিকই বুঝতে পেরেছিলেন। আর সে কারণেই ফারাক্কা বাঁধের ভয়াবহতা সম্পর্কে বিশ্ববাসীকে অবহিত করতে ১৯৭৬ সালের ১৬ মে মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চ অনুষ্ঠিত হয়।’’

তারা বলেন, ‘পানির অধিকার প্রতিষ্ঠিত না হলে বাংলাদেশের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে। এই অবস্থায় পানির অধিকার আদায়ে দ্বিপাক্ষিক, আন্তর্জাতিক ফোরামে আলোচনা করতে হবে। ভারতকে বুঝতে বাধ্য করতে হবে আমাদের নায্য প্রাপ্তির বিষয়ে। আর এক্ষেত্রে আমাদের অনুপ্রেরণার উৎস হতে পারেন মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী।’

জেবেল রহমান গানি ও এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, ‘ফারাক্কা কিংবা টিপাইমুখ বাঁধের এই সমস্যা কোনো দলীয় সমস্যা নয়। এই সমস্যা দেশের এবং সমগ্র জাতির। আন্তর্জাতিক নীতিমালা অনুযায়ী বাংলাদেশ যাতে পানির ন্যায্য হিস্যা পায় সে বিষয়ে জাতীয় সংলাপের মাধ্যমে দল-মত নির্বিশেষে প্রস্তাব গ্রহণ করা উচিত। ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক এবং চীন, নেপাল, ভুটান ও ভারতের সঙ্গে আঞ্চলিক সহযোগিতার বিষয়ে বাংলাদেশকে আলোচনার উদ্যোগ নিতে হবে। বন্ধু রাষ্ট্রকেও সৎ বন্ধুত্ব প্রমাণের জন্য সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। সেই সঙ্গে আমাদেরও সচেতন হতে হবে যেকোনো ধরনের পানি আগ্রাসনের বিষয়ে।’

তারা বলেন, ‘ফারাক্কা লংমার্চের মাধ্যমে মওলানা ভাসানী ভারতীয় পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যে সংগ্রামের সূচনা করেছিলেন তা সকল দেশপ্রেমিক শক্তির সংগ্রামের অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। টিপাইমুখ বাঁধসহ ভারতের সকল ধরনের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান তারা।’

জেবেল রহমান গানি ও এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, ‘ভারতের পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ গণআন্দোলন গড়ে তুলতে ব্যর্থ হলে বাংলাদেশকে রক্ষা করা সম্ভব হবে না।’

সারাবাংলা/এজেড/এমপি

ন্যাপ বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর