‘৭ নভেম্বর ও আগস্ট বিপ্লব’র চেতনা গণতন্ত্র নিশ্চিত করার আহ্বান
৭ নভেম্বর ২০২৪ ০৯:১৩ | আপডেট: ৭ নভেম্বর ২০২৪ ১১:২৮
ঢাকা: ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস এবং স্বৈরাচার বিরোধী গণঅভ্যুত্থানের চেতনায় বহুদলীয় গণতন্ত্র নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ।
বুধবার (৬ নভেম্বর) রাতে গণমাধ্যমে ‘৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানায় দলটি।
বিবৃতিতে দলটির শীর্ষ নেতৃরা বলেন, জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস এবং জুলাই বিপ্লব সকল সময় গণতন্ত্র, মানুষের বাক-ব্যক্তি স্বাধীনতা ও জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় অনুপ্রেরণা। সকলকে মনে রাখতে হবে ৭ নভেম্বর ও আগস্ট বিপ্লবের চেতনা হচ্ছে বহুদলীয় গণতন্ত্রকে নিশ্চিত করা।
বিবৃতিতে দলটির শীর্ষ নেতৃরা বলেন, জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস এবং জুলাই বিপ্লব সকল সময় গণতন্ত্র, মানুষের বাক-ব্যক্তি স্বাধীনতা ও জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় অনুপ্রেরণা। সকলকে মনে রাখতে হবে ৭ নভেম্বর ও আগস্ট বিপ্লবের চেতনা হচ্ছে বহুদলীয় গণতন্ত্রকে নিশ্চিত করা।
বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গণি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া বলেছেন, ১৯৭৫ সালের সিপাহী জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে প্রকৃত অর্থে বাংলাদেশের সার্বভৌম মর্যাদা প্রতিষ্ঠার সূচনা হয়। প্রতিষ্ঠিত হয় গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ। ২০২৪ সালেও জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসান হয়ে গণতন্ত্র, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন সফল হয়েছে। ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস জাতির ঐক্যের দিন। এই চেতনাকে আবার পুনঃস্থাপিত করতে হবে।
তারা বলেন, ‘৭ নভেম্বরের চেতনাই হচ্ছে বহুদলীয় গণতন্ত্র নিশ্চিত করা, স্বাধীনতার সুফল তথা অর্থনৈতিক মুক্তি, শান্তি-শৃঙ্খলা, সাম্য, ন্যায়বিচার ও মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করা। জুলাই-আগস্টের চেতনার মধ্য দিয়ে ৭ নভেম্বরের মত জাতিকে সকল প্রকার ফ্যাসিবাদ হতে মুক্তি দিতে হবে। মনে রাখতে হবে, গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ ও তার দোসররা যা করেছে, সেটি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে যায় না। তারা বাংলাদেশের ইতিহাসে বর্বরতম এক ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল। ফ্যাসিবাদ যাতে আর কখনো প্রতিষ্ঠিত হতে না পারে তার জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
নেতৃদ্বয় আরো বলেন, চারপাশে আলোচনা চলছে দেশকে বি-রাজনৈতিক করণের প্রক্রিয়া চলছে। যা কোনোভাবে কাম্য নয়। জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে একটি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তর চিন্তা করছে জনগণ। মনে রাখতে হবে আমাদের মূল সমস্যা হলো রাজনৈতিক সমস্যা। রাজনৈতিক সমস্যার সমাধানের অন্তর্বর্তী সরকার কি পদক্ষেপ নিয়েছে কিনা তা এখনো স্পষ্ট নয়। ’
তারা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার সংবিধান সংশোধন করতে পারে কি না, তার বৈধতা আছে কি না? এ বিষয়ে কথা বলা গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। সংবিধান জনগণের জন্য। সরকার জনকল্যাণের জন্য। তাই ‘ডকট্রিন অব নেসেসিটি’র আওতায় সংবিধান সংশোধনে যাওয়া উচিত। আমাদের বর্তমান সংবিধানে স্বৈরাচারী হওয়ার অনেকগুলো উপাদান রয়েছে। ১৯৭২-এর সংবিধানেও তা ছিল। পরবর্তী সময়ে সংশোধনীগুলোর মাধ্যমে এ ধরনের আরো কিছু উপাদান যুক্ত করা হয়েছে।
নেতৃদ্বয় বলেন, সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা হ্রাস ও সরকারের বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে ভারসাম্য সৃষ্টি করা প্রয়োজন। নতুন সাংবিধানিক কাঠামো লাগবে। তাহলেই এই গণঅভ্যুত্থান টেকসই হবে। সংস্কার ছাড়া এক দল থেকে আরেক দলে ক্ষমতা গেলে জনমানুষের আশার প্রতিফলন হবে না। ৭ নভেম্বর ও জুলাই আগস্টে চেতনায় জাতীকে ঐক্যবদ্ধ করে রাষ্ট্র ও রাজনীতিকে সংস্কার করতে হবে।
সারাবাংলা/জিএস/ইআ