ঢাকা: খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জামানত হারানো এসএম শফিকুর রহমান (মুশফিক) মেয়র হতে নির্বাচন কমিশনে ধরনা দিচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে পুনতদন্তের আবেদন জমা দিয়েছেন।
সাক্ষাৎ শেষে এসএম শফিকুর রহমান বলেন, ‘২০২৩ সালের খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে যতটুকু ভোট হয়েছে বা গণনা হয়েছে, এই ভোটে আমিই বিজয়ী হয়েছি, ইনশাআল্লাহ।’
আদালতে নিজের পক্ষে রায় পেয়েছেন দাবি করেন তিনি। ৩০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির আদেশ রয়েছে জানিয়ে এ প্রার্থী বলেন, ‘এই বিষয়ে আমরা সিইসি স্যারের সঙ্গে দেখা করলাম। উনার সঙ্গে কথা বলেছি, উনি আমাদের আশ্বস্ত করেছে যে আইনের যে ব্যাখ্যা আছে এই আইনের ব্যাখ্যা অনুযায়ী আমরা এই কাজ করব।’
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে তালুকদার আব্দুল খালেক ১ লাখ ৫৪ হাজার ৮২৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আ. আউয়াল হাতপাখা প্রতীকে ভোট পান ৬০ হাজার ৬৪টি।
অন্য প্রার্থীর মধ্যে জাতীয় পার্টি থেকে লাঙ্গল প্রতীকে শফিকুল ইসলাম মধু পান ১৮ হাজার ৭৪ ভোট, জাকের পার্টি থেকে গোলাপ ফুল প্রতীকে এস এম সাব্বির হোসেন পান ছয় হাজার ৯৬ ভোট। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে টেবিল ঘড়ি প্রতীকে এস এম শফিকুর রহমান পেয়েছেন ১৭ হাজার ২১৮ ভোট। এর আগে ২০১৮ সালের সিটি নির্বাচনেও জামানত হারান তিনি।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর সিটি করপোরেশনের মেয়র, কাউন্সিলরদের অপসারণ করে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালের রায়ে জিতে চট্টগ্রামে শাহাদাত হোসেন চৌধুরী মেয়র পদে দায়িত্ব নিয়েছেন। ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ইশরাক হোসেনের গেজেটও প্রকাশ করেছে ইসি। এবার খুলনা সিটি করপোরেশনের দাবি নিয়ে হাজির হন জামানত হারানো শফিকুর রহমান।
এ সময় এসএম শফিকুর রহমানের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা নিয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি এর আগে বিএনপিতে ছিলাম, এখন পলিটিক্স করি না।’