গাইবান্ধা: জেলার সুন্দরগঞ্জে আন্না বেগম (৩৩) নামে এক নারীকে হত্যার মামলার অভিযোগে স্বামী সাইফুল ইসলাম ওরফে বাবু (৩৫) এবং তার বিবাহ বহির্ভূত প্রেমিকাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১৫ মে) রাতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বামনডাঙ্গা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) জহুরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গ্রেফতার সাইফুল ইসলাম উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের তালুকবাজিত গ্রামের আহম্মদ আলীর ছেলে। বিবাহ বহির্ভূত প্রেমিকা পার্শ্ববর্তী রামভদ্র গ্রামের শহিদ মিয়ার মেয়ে।
এসআই জানান, মঙ্গলবার (১৩ মে) রাতে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানা এলাকা থেকে সাইফুলকে গ্রেফতার করা হয়। আর বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সাইফুল ইসলামকে আদালতে পাঠিয়ে রহস্য উদঘাটনে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।
রোববার (১৮ মে) রিমান্ড আবেদন শুনানীর দিন ধার্য করা হয়েছে। এর আগে সাইফুলের বিবাহ বহির্ভূত প্রমিকাকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ্দ করা হয়েছে। মামলার অপর দুই আসামি সাইফুল ইসলাম বাবুর পিতা আহম্মদ আলী (৬৫) ও মা শহিদা বেগম (৫২) পলাতক রয়েছেন। তাদেরকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বিগত প্রায় ১৪ বছর আগে সাইফুল ইসলামের সঙ্গে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার চর-নুনখাওয়া গ্রামের রূপচান্দ মিয়ার মেয়ে আন্না আক্তারের বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে দুই কন্যা রয়েছে। সাইফুল জীবিকার তাগিদে বিদেশে প্রবাস থাকেন। তিন মাস আগে ছুটিতে বাড়ি এসে প্রতিবেশী শহিদ মিয়ার স্বামী পরিত্যাক্তা মেয়ের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর দ্বন্দ্ব লেগেই থাকতো। সাইফুলের ছুটি শেষ হওয়ায় আবার বিদেশে পাড়ি দেওয়ার জন্য ১ এপ্রিল বাড়ি থেকে রওয়ানা করার আগের রাতেই পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে আন্না বেগমকে হত্যা করে। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে নিজের শয়নঘরের ধর্ণার সঙ্গে গলায় রশি পেঁচানো আন্না বেগমের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে থানা পুলিশ।
এ ঘটনায় আন্না বেগমের ভাই মতিয়র রহমান বাদী হয়ে তিন জনের নাম উল্লেখপূর্বক থানায় হত্যা মামলা করেন।
থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল হাকিম আজাদ গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।