Monday 19 May 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চবিতে সাত দফা দাবিতে শিবিরের বিক্ষোভ

চবি করেসপন্ডেন্ট
১৯ মে ২০২৫ ২০:০১

শিবিরের বিক্ষোভ

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শতভাগ আবাসন নিশ্চিত এবং দ্রুত চাকসু নির্বাচনের আয়োজনসহ সাত দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবির।

সোমবার (১৯ মে) দুপুর সাড়ে ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকসু ভবনের সামনে থেকে বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু করেন ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা। এরপর দেড়টার দিকে জিরো পয়েন্টে সমাবেশের মাধ্যমে কর্মসূচী শেষ করেন।

এ সময় শিবিরের নেতাকর্মীদের ‘জেগেছে রে জেগেছে, চবি শিবির জেগেছে’, ‘সেশনজটের কবর দে, বিপ্লবীদের খবর দে, ‘হল আবাসন সংস্কার, এই মুহূর্তে দরকার,’ ‘চবি শিবিরের কয় দফা, সাত দফা সাত দফা ‘ তোমার আমার অধিকার, চাকসু চাকসু, মাথার ওপর ছাতা দে, নয় আবাসন, ভাতা দে।’ স্লোগান দিতে দেখা যায়।

ছাত্রশিবিরের সাত দফা হচ্ছে – শতভাগ আবাসন নিশ্চিত করতে হবে এবং আবাসন নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত অনাবাসিক সকল শিক্ষার্থীকে আবাসন ভাতা প্রদান করতে হবে। সকল বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে অনতিবিলম্বে সেশনজট নিরসন এবং শিক্ষার আধুনিকায়ন নিশ্চিত করতে হবে। পর্যাপ্ত ও নিরাপদ যাতায়াত সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। অনতিবিলম্বে চাকসু নির্বাচন দিতে হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে টিএসসি স্থাপন, সেন্ট্রাল অডিটোরিয়াম নির্মাণ, কেন্দ্রীয় মসজিদ পুনর্নির্মাণ এবং আবাসিক হল ও অন্যান্য স্থাপনাসমূহ সংস্কার করতে হবে।

জুলাই বিপ্লব ও ফ্যাসিবাদী শাসনামলে শিক্ষার্থীদের নির্যাতনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত শিক্ষার্থীদের স্থায়ী বহিষ্কার এবং জড়িত শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের চাকরিচ্যুত করতে হবে। বিগত ফ্যাসিবাদী শাসনামলে অবৈধ নিয়োগের সঙ্গে জড়িত সকলের বিচার এবং নিয়োগপ্রাপ্তদের চাকরিচ্যুত করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

সমাবেশে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, ‘জুলাই পরবর্তী সময়ে আজ আমরা সাত দফা দাবিতে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছি। ছাত্রশিবিরের সবগুলো দাবি হচ্ছে শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবি। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেছিলেন যারা অবৈধভাবে নিয়োগ পেয়েছে, তাদের বহিষ্কার করা হবে। কিন্তু তারা এখনও পদে বহাল আছে। জুলাই আন্দোলনে ফ্যাসিবাদের দোসরদের হাতে ছাত্রজনতার রক্ত লেগে আছে। সেই ফ্যাসিবাদের দোসরদের সাথে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কনফারেন্স করেন। তাদেরকে অপসারণসহ অবিলম্বে আমাদের সাত দফা দাবি মেনে নিতে হবে।’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মোহাম্মদ আলী বলেন , ‘জুলাই আন্দোলন পরবর্তীতে আমাদের প্রত্যাশা ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের আমূল পরিবর্তন হবে। কিন্তু আমাদের সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসন সংকট প্রকটভাবে রয়েছে। কিছুদিন আগে সমাবর্তনে প্রধান উপদেষ্টা এসেছিলেন, কিন্তু এই প্রশাসন আবাসন সংকট নিরসনের জন্য কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এছাড়াও আওয়ামী লীগের দোসররা এখনও চাকরিতে বহাল রয়েছে। এরচেয়ে লজ্জা আর কিছু হতে পারে না। আমরা সাত দফা দাবি নিয়ে এসেছি। দাবি আদায় করেই আমরা ঘরে ফিরব। ‘

সারাবাংলা /এমআর/এসআর

বিক্ষোভ শিবির শিবিরের বিক্ষোভ