ঢাকা: ‘বাংলা একাডেমি লেখক কর্মশালা ও পুস্তক প্রকাশনা উৎসব ২০২৫’ উদ্বোধন করল বাংলা একাডেমি। বাংলা মঙ্গলবার (৬ই জ্যৈষ্ঠ) বিকেল ৩ টায় একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
এতে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির সচিব ড. মো. সেলিম রেজা। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মফিদুর রহমান। সভাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম।
ড. মো. সেলিম রেজা বলেন, ‘‘বাংলা একাডেমি প্রথমবারের মতো ১৯৯৫ সালে তরুণ লেখকদের জন্য প্রশিক্ষণ প্রকল্প চালু করে, যা নানাভাবে বিবর্তিত হয়ে বিভিন্ন সময়ে চলমান ছিল। বর্তমান কর্মশালাটি পূর্বের যেকোনো প্রকল্প বা কর্মশালার চেয়ে কার্যকর এবং যুগোপযোগী হবে বলে আমরা আশা করি।’’
মো. মফিদুর রহমান বলেন, ‘‘তরুণ লেখকদের নিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নানা প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পরিচালিত হয়। বাংলাদেশে বাংলা একাডেমি এ বিষয়ে যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তা আমাদের সাহিত্যের গতিপথ ইতিবাচক খাতে প্রবাহিত করতে ভূমিকা রাখবে বলে প্রত্যাশা করি।’’
তিনি বলেন, ‘‘তরুণরাই আমাদের স্বপ্ন ও সম্ভাবনার প্রতীক। প্রশিক্ষণ দিয়ে লেখক তৈরি করা যায় না—এটা যেমন সত্য তেমনি এটাও সত্য যে এ ধরনের কর্মশালার মাধ্যমে তরুণ লেখকরা তাদের সৃষ্টিকর্মকে সর্বোচ্চ মানসম্মত করতে সহায়তা পেতে পারেন। বর্তমান কর্মশালাটি সফল হলে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ভবিষ্যতে একে আরও বৃহত্তর রূপ দানে আগ্রহী।’’
অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম বলেন, ‘‘তরুণ লেখকদের অপরিসীম আগ্রহে এবং যুক্ততায় বাংলা একাডেমির আয়োজনে লেখক কর্মশালাটি প্রাণবান এবং কার্যকর হবে বলে আমরা আশাবাদী। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এই কর্মশালা প্রণয়নে যে সমর্থন ও সহায়তা প্রদান করেছে তা নিঃসন্দেহে আমাদের উৎসাহিত করেছে। ভবিষ্যতে এই লেখক কর্মশালা আরও বিস্তৃত করতে মন্ত্রণালয়সহ বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতিশীল তরুণ লেখকদের আমরা পাশে পাবো বলে ধারণা করি।’’
ছয় মাস মেয়াদি লেখক কর্মশালার জন্য মনোনীত লেখকদের বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে ফুলেল শুভে”ছা জ্ঞাপন করা হয় এবং তাদের সঙ্গে বাংলা একাডেমির চুক্তি সই হয়।