ঢাকা: জাতীয়তাবাদী কৃষকদল-যশোর জেলার নোয়াপাড়া পৌর শাখার সভাপতি তরিকুল ইসলামকে সন্ত্রাসীরা গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। বুধবার (২২ মে) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। হত্যাকাণ্ডকে ‘লোমহর্ষক, পৈশাচিক ও কাপুরুষোচিত’ আখ্যা দিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার (২৩ মে) সকালে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী ফ্যাসিষ্ট সরকারের পতন হলেও দেশে এখনও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারায় লিপ্ত রয়েছে পরাজিত শক্তি আওয়ামী লীগের দোসররা। তারা গভীর ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। ষড়যন্ত্রকারীরা ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক বিজয়কে কোনভাবেই মেনে নিতে পারছে না বলেই বর্তমান ফ্যাসিবাদমুক্ত পরিস্থিতিতে দেশব্যাপী খুন-খারাবীর মতো পৈশাচিক ও লোমহর্ষক খেলায় মেতে উঠেছে। পশুর চেয়েও হিংস্র ও ভয়াবহ আওয়ামী দুঃশাসন থেকে জনগণ নিস্তার পেলেও দেশ এখনও পুরোপুরি নিরাপদ নয়।
তিনি বলেন, ‘খুন-খারাবির মাধ্যমে ঘাপটিমারা আওয়ামী দুস্কৃতিকারিরা দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। আর এ কারণেই জনগণসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে তাদেরকে পৈশাচিক কায়দায় হত্যা করা হচ্ছে। জাতীয়তাবাদী কৃষকদল-যশোর জেলাধীন নোয়াপাড়া পৌর শাখার সভাপতি তরিকুল ইসলামকে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের দ্বারা গুলি করে নির্মমভাকে হত্যা করার ঘটনা সেটিরই নির্মম বহিঃপ্রকাশ। এসব সন্ত্রাসীদের কঠোর হস্তে দমন করতে হবে, এর কোন বিকল্প নেই। সন্ত্রাসীদের দমণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে কঠোর পন্থা অবলম্বন করতে হবে। নইলে সন্ত্রাসীদের দাপটে দেশ আবারো অস্থিতিশীল হয়ে পড়বে। তাই হামলা ও রক্তাক্ত পথ অনুসরণ করে ষড়যন্ত্রকারীরা যাতে ফায়দা লুটতে না পারে সেজন্য দলমত নির্বিশেষে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। আর তাহলেই দেশে প্রকৃত গণতন্ত্র, সুশাসন ও মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।’
বিএনপি মহাসচিব বিবৃতিতে জাতীয়তাবাদী কৃষকদল-যশোর জেলাধীন নোয়াপাড়া পৌর শাখার সভাপতি তরিকুল ইসলামকে হত্যাকারী দুস্কৃতিকারিদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর আহবান জানান। তিনি নিহতের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকাহত পরিবার-পরিজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।