Tuesday 27 May 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘সচিবালয়ে যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে, তা দেশের জন্য অশনি সংকেত’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৬ মে ২০২৫ ২১:৪৬ | আপডেট: ২৭ মে ২০২৫ ০০:০২

মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম

ঢাকা: ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, সচিবালয় হল রাষ্ট্রের প্রাণকেন্দ্র। রাষ্ট্রের চরম ও চুড়ান্ত মুহূর্তে সচিবালয় সচল রাখতে হয়। সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ নিয়ে সচিবালয়ে যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে, তা দেশের জন্য অশনি সংকেত।

সোমবার (২৬ মে) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

সৈয়দ রেজাউল করীম বলেন, ‘‘বাংলাদেশ যখন একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে, যখন দেশ একটি সামগ্রিক সংস্কারের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, তখন সচিবালয়ে এই ধরনের অচলাবস্থা পতিত স্বৈরাচারকে সুযোগ করে দেবে। তাই ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ‘সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরাম’কে আহ্বান করছে যে, সচিবালয় ও সারা দেশের সরকারি অফিস অচল করার কর্মসূচি থেকে সরে এসে আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে সমাধান খুঁজে বের করুন। একই সঙ্গে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতিও আহ্বান জানাচ্ছে যে, আলোচনার মধ্যে দিয়ে এর সমাধান খুঁজতে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।’’

তিনি বলেন, ‘‘সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দক্ষতা-যোগ্যতা ও জবাবদিহিতা রাষ্ট্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজের প্রতি দায়বদ্ধতা ও ফলাফলমুখি চরিত্র ধারণ করতে হবে। দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে এগুলোর অভাব লক্ষণীয়। একবার কোনভাবে সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করলে তাকে আর কোনো জবাবদিহি করতে হয় না। সরকারি দফতরে সেবা নিতে যাওয়া জনগণ এর ভুক্তভোগী। সেজন্য প্রস্তাবিত অধ্যাদেশে যেভাবে সংশোধন আনা হয়েছে তা ইতিবাচক চিন্তা থেকেই করা। তথাপিও এ ক্ষেত্রে যৌক্তিক কোনো দ্বিমত থাকলে তার জন্য আলোচনার পথ খোলা আছে। রাজনৈতিক কর্মসূচির মতো করে সচিবালয় অবরুদ্ধ করা কোনো আই্নসিদ্ধ পন্থা হতে পারে না। বরং এটা সরকারি চাকরির সাধারণ রীতিনীতি বহির্ভূত আচরণ যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আমি সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের প্রতি আহ্বান করব, দেশকে বিপদে ফেলে এমন কোনো কর্মসূচিতে অংশ নেবেন না।’’

বিজ্ঞাপন

রেজাউল করীম বলেন, ‘‘পতিত ফ্যাসিবাদ সচিবালয়কে ছিয়ানব্বই সালে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত ব্যবহার করেছিল। বর্তমানে দেশ একটি সংস্কার প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। ফ্যাসিবাদ ও ফ্যাসিবাদের অবশিষ্টাংশকে অপসারণ ও বিচারের কাজ চলছে। এই মূহূর্তে সচিবালয়ে যা হচ্ছে তাতে শঙ্কিত হওয়ার কারণ আছে। আমরা বিশ্বাস করতে চাই, যারা সচিবালয় অবরুদ্ধ করেছেন তাদের কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নাই। তথাপিও পতিত ফ্যাসিবাদ সুবিধা নিতে পারে এবং গণঅভ্যুত্থানের সরকার বিপদে পরে এমন সব কর্মসূচি প্রত্যাহার করতে হবে। কারণ, এর মাধ্যমে ফ্যাসিবাদ কোনো ধরনের সুযোগ নিলে জনতা ও ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করবে না।’’

সারাবাংলা/এজেড/এসআর

অচলাবস্থা অশনি সংকেত ইসলামী আন্দোলন বিবৃতি মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম সচিবালয়

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর