অনেক অপেক্ষার পর ব্রাজিল জাতীয় দলের দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন তিনি। সেলেসাওদের কোচ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেই চমক দেখালেন কার্লো আনচেলত্তি। আসন্ন বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের জন্য ঘোষিত স্কোয়াডে নেইমারকে রাখেননি আনচেলত্তি।
গত দুই বছর ধরেই ইনজুরির সঙ্গে লড়ছেন নেইমার। এক বছরের বেশি সময় মাঠের বাইরে থাকার পর গত বছরের শেষভাগে খেলায় ফেরেন তিনি। তবে আল হিলালের হয়ে মাঠে নামলেও ব্রাজিল দলে জায়গা হয়নি তার। আল হিলাল ছেড়ে সান্তোসে পাড়ি জমালেও জাতীয় দলের ভাগ্য খোলেনি।
সান্তোসের হয়ে শুরুতে দারুণ পারফর্ম করলেও আবারও ইনজুরিতে পড়েন তিনি। এই ইনজুরি থেকে এখনো পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠতে পারেননি নেইমার। আর এতেই বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের স্কোয়াডে ফিরতে পারছেন না তিনি। নেইমারের মতো স্কোয়াডে জায়গা হয়নি রদ্রিগো ও এন্ড্রিকের।
নেইমার না ফিরলেও এক বছর পর দলে ফিরেছেন ৩৩ বছর বয়সী ক্যাসেমিরো। স্কোয়াডে ফিরেছেন ফরোয়ার্ড রিচার্লিসনও।
আগামী ৫ জুন ইকুয়েডর ও ১০ জুন প্যারাগুয়ের বিপক্ষে বাছাইপর্বের ম্যাচ খেলবে ব্রাজিল। ১৪ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের পয়েন্ট তালিকার চতুর্থ স্থানে আছেন তারা। এই অঞ্চল থেকে ৬টি দল সরাসরি ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলবে। ৭ম দলকে খেলতে হবে মহাদেশীয় প্লে-অফ।
ব্রাজিল স্কোয়াড
গোলরক্ষক
অ্যালিসন (লিভারপুল), বেন্তো (আল নাসর), উগো সুজা (করিন্থিয়ানস)
ডিফেন্ডার
আলেক্স সান্দ্রো, দানিলো, লিও ওরতিজ, ওয়েসলি ( ফ্ল্যামেঙ্গো); বেরালদো , মারকিনিওস (পিএসজি); আলেক্সসান্দ্রো (লিল), কার্লোস আলগুস্তো (ইন্টার মিলান), ভ্যান্ডারসন (মোনাকো)
মিডফিল্ডার
আন্দ্রেয়াস পেরেইরা (ফুলহাম), ব্রুনো গিমারাইস (নিউক্যাসল), আন্দ্রেই সান্তোস (স্ত্রাসবুর্গ), কাসেমিরো (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড), এদেরসন (আটালান্টা), গেরসন (ফ্ল্যামেঙ্গো)।
ফরোয়ার্ড
এস্তেভাও (পালমেইরাস), এন্টোনি (বেটিস), গ্যাব্রিয়েল মার্টিনালি (আর্সেনাল), মাতেউস কুনিয়া (উলভস), ভিনিসিয়াস জুনিয়র (রিয়াল মাদ্রিদ), রাফিনহা (বার্সেলোনা), রিচার্লিসন (টটেনহাম)।