চট্টগ্রাম ব্যুরো: মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় এটিএম আজহারুল ইসলাম খালাস পাওয়ায় দোয়া ও শোকরানা মাহফিল করেছে চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াত ইসলামী। এতে দলটির কেন্দ্রীয় নেতা মুহাম্মদ শাহজাহান বলেছেন, এ রায়ে প্রমাণ হল, পুরো মিথ্যার ওপর ভিত্তি করে জামায়াত নেতাদের দুনিয়া থেকে বিদায় করে দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ মে) দুপুরে নগরীর দেওয়ান বাজারে নগর জামায়াতের কার্যালয়ে এ দোয়া ও শোকরানা মাহফিল হয়েছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ‘এ রায়ের মধ্য দিয়ে প্রমাণ হল, টোটাল বিচারিক প্রক্রিয়াটা ন্যায়ভ্রস্ট ছিল, রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের ওপর প্রতিষ্ঠিত ছিল। মিথ্যার ওপর ভিত্তি করে আমাদের শহিদ নেতাদেরকে দুনিয়া থেকে বিদায় করে দেওয়া হয়েছে।’
‘সেটি দুনিয়াবাসীর সামনে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য মহান রব আমাদের প্রিয় নেতা আজহার ভাইকে জীবিত রেখেছিলেন। তার ওপর যে পরিমাণ মানসিক, শারীরিক নির্যাতন হয়েছে, এই নির্যাতনের মুখে একজন মানুষের বেঁচে থাকা দুষ্কর ছিল।’
তিনি বলেন, ‘আজহার ভাইয়ের খালাসের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ আইনের শাসনে ফিরে আসা শুরু হয়েছে। বিচারাঙ্গন কলঙ্কমুক্ত হওয়া শুরু হয়েছে। সত্যের বিজয় আর মিথ্যার পরাজয় শুরু হয়েছে। আমাদের জন্য পহেলা জুন আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। এই দলের যে অন্যায়ভাবে নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে, নিবন্ধনও আমরা ফিরে পাব ইনশল্লাহ। একইসঙ্গে ন্যায় ও ইনসাফের প্রতীক দাঁড়িপাল্লা প্রতীকও ফিরে পেয়ে আমরা পার্লামেন্টে বিজয় অর্জন করে দেশের দায়িত্ব গ্রহণ করবো ইনশল্লাহ।’
সভাপতির বক্তব্যে নগর জামায়াতের আমীর শাহজাহান চৌধুরী বলেন, ‘আল্লাহতালা আজহার ভাইকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আপীল বিভাগের মাধ্যমে। এ রায় শুনলে আজ সবচেয়ে বেশি খুশি হতেন ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক ভাই। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ব্যারিস্টার রাজ্জাক ভাই যেভাবে মোকাবেলা করেছেন, আজ উনি সবচেয়ে বেশি খুশি হতেন। কিন্তু উনি তো দুনিয়া থেকে চলে গেছেন।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের নেতৃবৃন্দের যদি ফাঁসি না হতো, তাহলে সবাই আজহার ভাইয়ের মতো বেকসুর খালাস হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসতেন। নেতৃবৃন্দের ফাঁসির মাধ্যমে জামায়াত ইসলামীকে, এই বিশাল বাগানকে শূন্য করে দেয়ার ষড়যন্ত্র হয়েছিল। আমাদের ওপর এখন বিশাল দায়িত্ব। আজহার ভাই আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন। পহেলা জুন আমাদের নিবন্ধনের রায় হবে। আমাদের হৃদয়ের মার্কা, আবেগের মার্কা, প্রাণের মার্কা দাঁড়িপাল্লা যাতে আমরা নিবন্ধনসহ ফেরত পাই, সেজন্য সবাই মিলে দোয়া করবেন।’