কুষ্টিয়া: শহরের কালিশংকরপুর সোনার বাংলা সড়ক এলাকায় গেল দেড় মাস ধরে তিন তালা ভবনের নিচ তলায় ভাড়া থাকতেন সুব্রত বাইন ও মোল্যা মাসুদ। দিনেই আলোয় কখনোই তাদের দেখা যায়নি। মঙ্গলবার (২৭ মে) ভোররাতে হঠাৎ এই বাড়িতেই সেনাবাহিনীর অভিযান দেখে অবাক হন স্থানীয়রা।
অভিযানে গ্রেফতার করা হয় দেশের শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ও মোল্যা মাসুদকে। এ খবরে জেলাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। কালিশংকরপুর এলাকার আশপাশজুড়ে বিরাজ করছে থমথমে অবস্থা।
ওই ভবনের ছাত্রাবাসের এক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমরা প্রতিদিনের মতো ঘুমিয়েছিলাম। ভোর সাড়ে ৫টার দিকে আমার রুমের দরজায় প্রকট একটি শব্দ হয়। দরজা খুলে দেখি সেনা সদস্যরা দাঁড়িয়ে আছেন। তখন তারা জিজ্ঞেস করেন, এখানে আর কারা থাকেন। আমরা বলি, নিচতলা দেড় মাস আগে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। সেখানে কেউ আছেন। তারা নিচে গিয়ে দরজা ভেঙে প্রবেশ করেন। প্রায় ৪০ মিনিট পরে দেখি পাঁচ-ছয়টি সেনাবাহিনীর গাড়ি ও প্রায় ৭০ থেকে ৮০ জন সেনাসদস্য বাড়িটি ঘিরে রেখেছেন। এ সময় একটি গাড়িতে দু’জনকে তুলে নেওয়া যায়। পড়ে জানতে পারি তারা শীর্ষ সন্ত্রাসী।’
স্থানীয়রা জানান, স্থানীয় হেলালের মাধ্যমে মৃত মীর মহিউদ্দিনের বাড়ির নিচতলা ছয় হাজার ভাড়া নেন তারা। তবে তাদের কখনো বাড়ির বাইরে আসতে দেখা যায়নি। মাঝে-মধ্যে জানালা খুলতে দেখা যেত। কিন্তু কয়েক মিনিট পরেই বন্ধ করে দিত। আর রাতে একটি গাড়ি এসে তাদের নামিয়ে দিয়ে যেত।
কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোশারফ হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, ‘তারা দেড় মাস আগে পরিচয় গোপন করে বাসা ভাড়া নিয়েছিল। তাদের আইনের আওতায় নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।’
উলেখ্য, গ্রেফতারর সুব্রত বাইন শীর্ষ অপরাধ চক্রের নেতা হিসেবে পরিচিত। সে ঢাকার অপরাধ জগতের প্রভাবশালী চক্র ‘সেভেন স্টার’ গ্রুপের প্রধান।