ঢাকা: জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধনের তিন লাখের বেশি আবেদন নির্বাচন কমিশন (ইসি) কর্মকর্তাদের টেবিল আটকে আছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আবেদন ঝুলে আছে ‘গ’ ক্যাটাগরিতে। বয়সসংক্রান্ত আবেদনের এই সংখ্যা এক লাখ ৪০ হাজার ৩১৬টি।
মঙ্গলবার (২৭ মে) নির্বাচন কমিশনের (ইসি) এনআইডি পরিচালক (অপারেশনস) মো. সাইফুল ইসলামের তৈরি করা এক প্রতিবেদন থেকে বিষয়টি জানা গেছে।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) এনআইডি পরিচালক (অপারেশন্স) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা প্রতিদিন অনেক আবেদন নিষ্পত্তি করে থাকি। তবে আবেদন নিষ্পত্তির চেয়ে নতুন আবেদন আরও বেশি আসে আমাদের কাছে। প্রতিমাসে প্রায় এক লাখ এনআইডি সংশোধনের আবেদন জমা পরে। ফলে আবেদনগুলো জমা থেকেই যাচ্ছে। এর মধ্যেও আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি যত দ্রুত সেবা প্রদান করা যায় নাগরিকদের।’
প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত ১ জানুয়ারি পর্যন্ত ক্র্যাশ প্রোগ্রাম শুরুর আগ পর্যন্ত তিন লাখ ৭৮ হাজার ৮৩৬টি আবেদন ছিল। এই সময়ে নতুন করে জমা পড়েছে পাঁচ লাখ এক হাজার ৯৫৪টি আবেদন। গত সাড়ে চার মাসে নিষ্পত্তি করা হয়েছে পাঁচ লাখ ৭১ হাজার ১৯৭টি আবেদন। বর্তমানে অনিষ্পন্ন আবেদনের সংখ্যা তিন লাখ নয় হাজার ৫৯৩টি। নির্বাচন কমিশন জটিলতার ধরন অনুযায়ী ছয়টি ক্যাটাগরিতে আবেদনের নিষ্পত্তি করে থাকে। সবচেয়ে বেশি আবেদন ঝুলে আছে ‘গ’ ক্যাটাগরিতে, এক লাখ ৪০ হাজার ৩১৬টি। এই ধরনের আবেদন বয়স সংশোধন সংক্রান্ত হয়ে থাকে। সবচেয়ে কম আবেদন ঝুলে আছে ‘ক-১’ ক্যাটাগরিতে, দুই হাজার ২৮টি। ইসির সার্ভারে প্রায় ১২ কোটির মতো ভোটার রয়েছে। এদের অনেকেই নানা ভুল সংশোধনের জন্য প্রতিনিয়ত আবেদন করেছেন। সেগুলোই পড়ে আছে কর্মকর্তাদের টেবিলে।
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘জেলা পর্যায়ে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা পর্যায়ে এনআইডি সংশোধনের যে ক্ষমতা ছিল জেলা অফিসারকেও সেই দায়িত্ব দিয়েছি। মানুষের সেবা নিশ্চিতের জন্য যেগুলো যৌক্তিক আবেদন, সেগুলো কমিশন দ্রুত অনুমোদন দিচ্ছে। কমিশন ও সচিবালয় আমরা সবাই মিলে মানুষেকে দ্রুত সেবা দিতে চাই। যেহেতু যাচাই বাছাই করেই আবেদন নিষ্পত্তি করতে হয়। এতে কখনো কখনো কিছুটা সময় লেগে যেতে পারে। তবে আগের চেয়ে কাজের গতি বেড়েছে। সামনে আরও বাড়বে বলে আশা করি।’