ঢাকা: অস্ত্র আইনের মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে মো. ফাতেহ আলীকে আটদিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তার তিন সহযোগীর ছয়দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
বুধবার (২৮ মে) বিকেলে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইনের আদালতে এ আদেশ দেন।
রিমান্ড পাওয়া অন্যরা হলেন- আবু রাসেল মাসুদ ওরফে মোল্লা মাসুদ, এমএএস শরিফ ও মো. আরাফাত ইবনে মাসুদ।
এদিন সব আসামির ১০ দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রিয়াদ আহমেদ। তবে তাদের রিমান্ড বাতিলসহ জামিন চেয়ে আবেদন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। শুনানি শেষে তাদের সবার রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, ২০০১ সালে আসামি সুব্রত বাইন ও তার সহযোগী মোল্লা মাসুদসহ ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীর নাম ঘোষণা করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে তাদের ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। তারা সন্ত্রাসী বাহিনী সেভেন স্টার গ্রুপ পরিচালনা করতেন। সুব্রত বাইন তৎকালীন খুন-ডাকাতি সংঘটনের মধ্য দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করে। আসামিরা বিভিন্ন মামলায় সাজা পেয়ে সাজা ভোগ করা অবস্থায় ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর জেল থেকে ছাড়া পেয়ে আবারও সন্ত্রাসী কার্যক্রম শুরু করেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযানে ২৭ মে সকালে সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদকে গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, আসামি এসএম শরীফের হাতিরঝিলের এক বাড়িতে তারা নিয়মিত মিটিং করেন। সেখানে তাদের ব্যবহৃত অস্ত্র, গুলি ও অপরাধ সংঘটনের বিভিন্ন সরঞ্জামাদি রাখা রয়েছে। পরে হাতিরঝিল থানার নতুন রাস্তা এলাকা থেকে গতকাল বিকেল ৩টার দিকে আসামি এমএএস শরীফ ও আসামি মো. আরাফাত ইবনে নাসিরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্রের সক্রিয় সদস্য। প্রাথমিক তদন্তে মামলার আসামিদের এ মামলার সঙ্গে জড়িত থাকার সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাদের নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাদের আরও অনেক সহযোগীকে গ্রেফতার এবং আরও বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার হতে পারে। তারা জামিনে মুক্তি পেলে চিরতরে পলাতক হতে পারেন। তাই মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।