কক্সবাজার: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে কক্সবাজারে টানা বৃষ্টিতে অন্তত ১৫ জায়গায় পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে প্লাবিত হয়েছে শহর ও সদর উপজেলার নীচু এলাকাসহ চকরিয়া, পেকুয়া, টেকনাফ ও রামু উপজেলার শতাধিক গ্রাম। এদিকে আবহাওয়া অফিস বলছে এই বৃষ্টি আরও দুই-একদিন থাকবে। অব্যাহত রয়েছে ৩ নম্বর সর্তক সংকেত।
শুক্রবার (৩০ মে) দেখা গেছে গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে ক্ষয়-ক্ষতি মোবাবেলায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় সিদ্ধান্তে ৬৩৮টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি মেডিক্যাল ও সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক টিমও প্রস্তুত রয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় জানানো হয় গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তাল সমুদ্র সৈকতে পর্যটকসহ স্থানীয়দের নামতে নিষেধ করা হয়েছে। সমুদ্র সৈকতে লাল পতাকা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকা লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে।
আবহাওয়ার এই পরিস্থিতির কারণে গত ৫ দিন ধরে সেন্টমার্টিন দ্বীপের সঙ্গে টেকনাফ নৌ রুটে যাত্রী ও মালবাহী ট্রলার চলাচল বন্ধ রয়েছে।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মো. আবদুল হান্নান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪০ মিলিলিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ৩ নম্বর সর্তক সংকেত বলবত রয়েছে। ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এই অবস্থা আরও ক’দিন থাকবে।