বিভিন্ন দেশের আমদানি পণ্যের ওপর ট্রাম্পের আরোপ করা পালটা শুল্কের রায় স্থগিত করেছেন মার্কিন আদালত। আপাতত শুল্ক আবার চালু করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) ওয়াশিংটনে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সার্কিট কোর্ট অব আপিলস এক জরুরি আদেশে বাণিজ্য আদালতের রায় কার্যকর হওয়া থেকে সাময়িক বিরতি দেয়। এই আদেশে আদালত কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি, তবে মামলার বাদী পক্ষকে ৫ জুনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, শুল্ক কার্যক্রম বন্ধ হলে জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে। আদালত এই যুক্তিকে মেনে নিয়েই আপাতত শুল্ক চালু রাখার অনুমতি দিয়েছে। হোয়াইট হাউস এই আদেশকে স্বাগত জানিয়েছে।
হোয়াইট হাউসের বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারো বলেন, ‘আমরা যদি কোনো শুল্ক মামলায় হেরে যাই, তাহলেও অন্য পথ খুঁজে বের করব।’
এর আগে, গত বুধবার আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আদালত রায় দিয়েছিল যে, ট্রাম্প প্রশাসন ‘ইন্টারন্যাশনাল ইমার্জেন্সি ইকোনমিক পাওয়ারস অ্যাক্ট, ১৯৭৭’ (আইইইপিএ) আইনের অপব্যবহার করেছে। এই আইন মূলত জাতীয় জরুরি পরিস্থিতিতে নির্দিষ্ট দেশ, সন্ত্রাসী সংগঠন বা অপরাধী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য। কিন্তু ট্রাম্প এই আইনের আওতায় চীন, মেক্সিকো ও কানাডা থেকে আসা পণ্যে শুল্ক বসান। আর এই পদক্ষেপের পেছনে কারণ হিসেবে ট্রাম্প অভিযোগ করেন, এই তিন দেশ যুক্তরাষ্ট্রে ফেন্টানিল পাচারে ভূমিকা রাখছে।
ওই রায়ে বিচারকরা লিখেছেন, ‘আইইইপিএ আইনে শুল্ক আরোপের বিষয়ে প্রেসিডেন্টকে যে ক্ষমতা দেওয়া আছে, ডোলান্ড ট্রাম্প আরোপিত ‘বিশ্বব্যাপী ও প্রতিশোধমূলক শুল্ক আদেশগুলো’ সেই ক্ষমতার পরিধিকে ছাড়িয়ে গেছে। ‘ট্রাফিকিং ট্যারিফ’ ব্যর্থ, কারণ এগুলো আদেশে উল্লিখিত হুমকির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।’
উল্লেখ্য, গত ২ এপ্রিল বিশ্বের প্রায় সব দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা পণ্যের ওপর অতিরিক্তি শুল্ক আরোপ করেন ট্রাম্প। এর জেরে বিশ্ব বাজারে ব্যাপক অস্থিতিশীলতা দেখা দেয়। সপ্তাহখানেক বাদে চীন ছাড়া বাকি দেশগুলোর ওপর ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এই সময়ের মধ্যে দেশগুলোর সঙ্গে শুল্ক নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে তার প্রশাসন।