টাঙ্গাইল: জেলার মির্জাপুরের গোড়াইয়ে পারিবারিক কলহের জেরে গার্মেন্টস কর্মী কবিতা আক্তার (২৫) কে জবাই করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর স্বামী সুজন মিয়া পলাতক রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) দিবাগত রাত ৩টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত কবিতা আক্তারের গ্রামের বাড়ি নীলফামারী জেলায়। তারা গোড়াই সোহাগপাড়া এলাকায় মুসা মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
এলাকাবাসী জানায়, সুজন মিয়া ও তার স্ত্রী কবিতা আক্তার দুই সন্তান নিয়ে মুসা মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। কবিতা ওই এলাকার একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। তার স্বামী সুজন পেশায় একজন মেকানিক। বৃহস্পতিবার রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে সুজন মিয়া উত্তেজিত হয়ে বাসায় থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কবিতাকে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
পরে আশপাশের লোকজন ঘটনা টের পেয়ে মির্জাপুর থানা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
মির্জাপুর থানার (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শুক্রবার সকালে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামী পলাতক রয়েছে। এই ঘটনায় নিহত কবিতার বাবা বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।