যুক্তরাষ্ট্র ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানিতে বর্তমান শুল্কের ওপর ২৫ শতাংশ বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করা হবে। পেনসিলভানিয়া থেকে এক জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই ঘোষণা দেন। আগামী বুধবার (৪ জুন) থেকে এটি কার্যকর হবে।
ট্রাম্প বলেন, এই পদক্ষেপ দেশের ইস্পাত শিল্পকে চাঙ্গা করবে, জাতীয় সরবরাহ বাড়াবে এবং চীনের ওপর নির্ভরতা কমাবে। তিনি আরও জানান, মার্কিন সংস্থা ইউএস স্টিল ও জাপানের নিপ্পন স্টিলের মধ্যে একটি অংশীদারিত্বের মাধ্যমে পিটসবার্গ এলাকায় ১৪ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা হবে। তবে পরে সাংবাদিকদের জানান, তিনি এখনো চুক্তির চূড়ান্ত খসড়া দেখেননি বা অনুমোদন দেননি।
২০২৫ সালের জানুয়ারিতে পুনরায় দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ট্রাম্পের শুল্কনীতি নিয়ে নানা উত্থান-পতনের মধ্যে এটিই সর্বশেষ ঘোষণা। তিনি জনসভায় বলেন, ‘কোনো কর্মী ছাঁটাই হবে না, কোনো কাজ বিদেশে যাবে না, এবং প্রত্যেক মার্কিন ইস্পাত শ্রমিক পাঁচ হাজার ডলার বোনাস পাবেন।’
ইউএস-জাপান চুক্তি নিয়ে শ্রমিকদের প্রধান উদ্বেগ ছিল জাপান শ্রমিক ইউনিয়নের চুক্তি মানবে কিনা, যেখানে বেতন ও নিয়োগ নীতির নিয়ম রয়েছে।
ট্রাম্প বলেন, ২০১৮ সালে তার প্রথম দফা প্রেসিডেন্সির সময় ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে তিনি ইউএস স্টিলকে বাঁচিয়েছিলেন। এবার ৫০ শতাংশ শুল্কের মাধ্যমে তিনি এর স্থায়িত্ব নিশ্চিত করতে চান।
তিনি বলেন, ‘৫০ শতাংশে পৌঁছালে, তারা আর দেয়াল টপকাতে পারবে না। আমরা আবার পেনসিলভানিয়ার ইস্পাতকে আমেরিকার মেরুদণ্ডে পরিণত করবো।’
মার্কিন ইস্পাত উৎপাদন সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কমে গেছে এবং চীন, ভারত ও জাপান বিশ্বের শীর্ষ উৎপাদক হয়ে উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবহৃত প্রায় এক-চতুর্থাংশ ইস্পাত আমদানি করা হয়, যা মেক্সিকো ও কানাডার ওপর নির্ভরতা বাড়িয়েছে, ট্রাম্পের মতে যা গ্রহণযোগ্য নয়।
এই ঘোষণা এমন এক সময়ে এসেছে, যখন ট্রাম্পের বৈশ্বিক শুল্ক নিয়ে আদালতে আইনি লড়াই চলছে। যদিও সেই মামলায় ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের শুল্ক অন্তর্ভুক্ত নয়।