Sunday 01 Jun 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

গাইবান্ধায় খেঁয়াঘাটে অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
৩১ মে ২০২৫ ১৩:১৭

খেঁয়াঘাটে টোল আদায়ে নিয়োজিত সাহাব উদ্দিন।

গাইবান্ধা: জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর খেঁয়াঘাটে পারাপারে অতিরিক্ত পরিমাণ টোল আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। খেঁয়াঘাটে টোল আদায়ে নিয়োজিত রয়েছেন সাহাব উদ্দিন, দুলা মিয়া ও পাপ্পু মিয়া নামে তিন ব্যক্তি। এদের মধ্যে পাপ্পু মিয়া ও দুলা মিয়া টোল আদায়ের সঙ্গে জড়িত নেই বলে জানান। তারা এ ব্যাপারে কিছু বলেননি।

জেলা পরিষদের অধীনে এ খেঁয়াঘাট প্রতি বছর ইজারা প্রদান করলেও এবার তা করেনি। ফলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাস আদায়ের ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

জানা গেছে, টোল আদায়ে নিয়োজিত কর্মী সাহাব উদ্দিন নদী পারাপারে প্রত্যেক পথচারীর কাছ থেকে ৫০/৬০ টাকা আর প্রতি মোটারসাইকেল পারাপারেও একই হারে টোল আদায় করছেন।

বিজ্ঞাপন

চর-হরিপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশরাফুল ইসলাম জানান, স্কুলে প্রত্যেকদিন যাওয়া-আসার জন্য এ খেঁয়াঘাটে পারাপার হতে ৮০ টাকা করে দিতে হয়। ব্যবসা-বাণিজ্য, হাট-বাজার, শিক্ষা-চিকিৎসাসহ নানাবিধ কাজে নদীর এপার-ওপারে যাতায়াতে খেঁয়াঘাটে পারাপারের ক্ষেত্রে সবারই আদায়কারীকে বিগত যেকোনো সময়ের চেয়ে এবার অনেক বেশি হারে টোল প্রদান করতে হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বিকেলে মোটরসাইকেল নিয়ে পার হচ্ছিলেন হরিপুর ইউনিয়নের তিস্তা নদীর চরে অবস্থিত কারেন্টবাজার এলাকার বাসিন্দা সাইফুল ইসলামসহ তিনজন। এ সময় খেয়া পারাপারে তার থেকে ১৬০ টাকা টোল নেওয়া হয়। এ নিয়ে সাইফুল আপত্তি জানালেও কোনো লাভ হয়নি।

সাইফুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ‘প্রত্যেকদিন পারাপার হতে হয়। যেখানে ৫০ টাকা না হয় ৬০ টাকা নেওয়ার কথা সেখানে ১৬০ টাকা বা ১৫০ টাকা নিবেন কি জন্য। অতিরিক্ত টাকা ফেরত চাওয়ায় কথা কাটাকাটি হয়।’

অন্য পথচারীরা জানান, আগের চেয়ে এবার খেঁয়াঘাট পারাপারে অতিরিক্ত পরিমাণে টোল আদায় করে তাদের উপর চাপ দেওয়া হচ্ছে।

খেঁয়াঘাটে টোল আদায়ে নিয়োজিত সাহাব উদ্দিন বলেন, ‘আদায়কৃত টোল টিএনও (ইউএনও) কে দেওয়া হয়। পার্টির চ্যাংরা-প্যাংরারাও নিয়ে যায়।’ নদী পারাপারে টোল নির্ধারণে খেঁয়াঘাটের কোথাও কোনো চার্ট না থাকার বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করা হলে এই ব্যাপারে কথা না বলে এড়িয়ে যান তিনি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজ কুমার বিশ্বাস জানান, এবারে খেঁয়াঘাটের ইজারা না থাকায় একজন তহশীলদারের (ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা) মাধ্যমে খাস আদায়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

সারাবাংলা/এসডব্লিউ

খেয়াঘাট টোল আদায়

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর