ঢাকা: দেশের শিল্প কারখানায় আজ (৩১ মে) থেকেই গ্যাস সরবরাহ বাড়ানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
শনিবার (৩১ মে) আশুলিয়া ও গাজীপুরের বিভিন্ন শিল্প এলাকার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি পরিস্থিতি সরেজমিনে পরিদর্শনকালে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান। দিনব্যাপী গাজীপুরের কালিয়াকৈর, শ্রীপুর, টঙ্গী এবং আশুলিয়া, চন্দ্রা, মির্জাপুর, ভালুকা, টঙ্গীর শিল্প কারখানার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন তিনি। তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পারভেজ আহমেদ, জ্বালানি মন্ত্রণালয় সচিব সাইফুল ইসলাম, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আজিমসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, এটা আরও দু’য়েকদিন আগেই হতো, কিন্তু সমুদ্র উত্তাল থাকায় জাহাজ থেকে গ্যাস নামানো সম্ভব হয়নি। আজ থেকেই গ্যাস সরবরাহ বাড়বে। গ্যাস সংকট মোকাবেলায় আরও চারটি এলএনজি কার্গো আনা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ৫০ এমএমসিএফডি সরবরাহ বেড়েছে, আরও এক থেকে দেড়শ এমএমসিএফডি বাড়বে।
তিনি বলেন, শিল্প মালিকরা গ্যাস সংকটের যে অভিযোগটা তুলেছে, পরিদর্শনকালে এর কিছুটা সত্যতা পেয়েছি। আমরা এটা এডজাস্টমেন্ট করার চেষ্টা করছি।
‘তবে সব এলাকায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ রয়েছে’- উল্লেখ করে জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, এ জন্য দায়ী তিতাস কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চলমান আন্দোলন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রোববার এ বিষয়ে একটি সভা হবে। পল্লী বিদ্যুৎ ও আরইবির সম্পর্ক কী হবে, তা নিয়ে আলোচনা হবে। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটি আগামীকাল চূড়ান্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন করবে। ওই প্রতিবেদন পাওয়ার পর আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
তিনি আরও বলেন, বিষয়গুলো নিয়ে আমরা কাজ করছি এবং এগুলো দ্রুত সমাধান করা হবে। এটা নিয়ে মিছিল-মিটিং করে কোনো লাভ নেই। এগুলো করলে শুধু ক্ষতিই হয়। আগেও প্রায় ২৬-২৭টি স্থানে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এটি ছিল নাশকতামূলক কাজ। সে কারণে সরকারকে বাধ্য হয়ে কিছু ব্যবস্থা নিতে হয়েছে।
