বরিশাল: জেলায় জাতীয় পার্টির (জাপা) জেলা ও মহানগর কার্যালয়ে ভাঙচুর হয়েছে। গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগে দলটির একটি বিক্ষোভ থেকে এ ভাঙচুর করার অভিযোগ ওঠে।
শনিবার (৩১ মে) রাত ৯টার দিকে শহরের ফকির বাড়ি রোড এলাকায় কার্যলয়ে এ ভাঙচুর চালানো হয় বলে জানা গেছে।
এরআগে রংপুরে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের বাসভবনে হামলার প্রতিবাদে বরিশালে জাতীয় পার্টির বিক্ষোভ মিছিলে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে দলটির অন্তত ৭জন নেতাকর্মী আহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শনিবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে নগরীর সদর রোডের অশ্বিনী কুমার হলের সামনে থেকে গণঅধিকার পরিষদের বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। পরে মিছিলটি নগরীর ফকির বাড়ি রোডে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকে। একপর্যায় রাত ৯ টার দিকে কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানো হয়। এ সময় কার্যালয়ে জাতীয় পার্টির কোনো নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন না।
গণঅধিকার পরিষদের বরিশাল মহানগর শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম সাগর অভিযোগ করেন, বিকেলে জাতীয় পার্টি নগরীতে মিছিল বের করে। মিছিল থেকে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের নিয়ে কটূক্তি ও সরকারের সমালোচনা করে নানা স্লোগান দেওয়া হয়। এ সময় গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে সরকার বিরোধী স্লোগান না দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়। কিন্তু জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়। জাতীয় পার্টির হামলায় গণঅধিকার পরিষদের অন্তত ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হন।
এদিকে এ ঘটনায় বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের বরিশাল মহানগরের সিনিয়র সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম সাগর। এতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ২০০-২৫০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
এরআগে শনিবার বিকেলে জাতীয় পার্টির বিক্ষোভ মিছিলে হামলার অভিযোগ ওঠে মিছিল শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যে কিছু যুবক লাঠিসোঁটা নিয়ে এ হামলা চালায়। প্রথমে হতচকিয়ে উঠলেও পরে পালটা প্রতিরোধ গড়ে নেতাকর্মীরা। এতে জাতীয় পার্টির বরিশাল মহানগরের আহ্বায়কসহ ৭ জন আহত হওয়ার দাবি করে দলটির নেতাকর্মীরা।
জাপা চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মহসিন উল ইসলাম হাবুল বলেন, ‘কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বের হই। এরপর কিছু সন্ত্রাসী বিনা উসকানিতে আমাদের ওপর লাঠিসোঁটা এবং দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। তাৎক্ষণিক আমাদের নেতাকর্মীরা তা প্রতিহত করে এবং ধাওয়া দিয়ে হামলাকারীদের একজনকে ধরে পুলিশে দিয়েছে। ’
বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি।’