ঢাকা: চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসেই (জুলাই-মে) বাংলাদেশের রফতানি আয় আগের পুরো অর্থবছরের তুলনায় বেশি হয়েছে। এ সময়ে রফতানি আয় দাঁড়িয়েছে ৪৪ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা ২০২৩-২৪ অর্থবছরের মোট রফতানি আয়ের চেয়ে বেশি। ওই অর্থবছরে রফতানি আয় ছিল ৪৪ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলার। মঙ্গলবার (৩ জুন) রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
ইপিবির তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের মে মাসে বাংলাদেশের রফতানি আয়ে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে। এ মাসে রফতানি আয় ১১ দশমিক ৪৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলার, যেখানে গত বছরের একই মাসে আয় ছিল ৪ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার।
অন্যদিকে, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে মে—এই ১১ মাসে রফতানি আয় ১০ শতাংশ বেড়েছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে আয় ছিল ৪০ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলার, যা এ বছর বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৪ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলারে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই-মে মাসে তৈরি পোশাক খাত থেকে রফতানি আয় ১০ দশমিক ২৫ শতাংশ বেড়ে ৩৬ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৩৩ দশমিক ১৭ বিলিয়ন ডলার।
ওভেন পণ্যের রফতানি আয় ৯ দশমিক ৩০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর নিটওয়্যার পণ্যের রফতানি আয় হয়েছে ১৯ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় ১০ দশমিক ৯৮ শতাংশ বেশি।
প্রধান প্রধান খাতগুলোর রফতানি পরিস্থিতি নিয়ে ইপিবির তথ্যানুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে মে পর্যন্ত কৃষিপণ্যের রফতানি আয় দাঁড়িয়েছে ৯২৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা আগের বছরের ৮৯৯ মিলিয়নের তুলনায় ৩ দশমিক ১৭ শতাংশ বেশি।
হিমায়িত ও জীবন্ত মাছ রফতানি থেকে আয় হয়েছে ৪১০ মিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় ১৭ দশমিক ৫৩ শতাংশ বেশি। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রফতানি আয় ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ বেড়ে ১ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, আর প্লাস্টিক পণ্যের রফতানি আয় ১৮ দশমিক ৬২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭০ মিলিয়ন ডলার।
চামড়ার তৈরি জুতা রফতানিতে ২৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে, যা আগের বছরের ৪৮১ মিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে হয়েছে ৬২০ মিলিয়ন ডলার। তবে চামড়াজাত অন্য পণ্যের রফতানি ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৩১৭ মিলিয়ন ডলারে।
পাট ও পাটজাত পণ্যের রফতানি ৪ দশমিক ৭৭ শতাংশ কমে ৭৬৯ মিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। হোম টেক্সটাইল খাতে ৪ দশমিক ৭৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে, যেখানে রফতানি আয় দাঁড়িয়েছে ৮২৫ মিলিয়ন ডলার।
নন-লেদার ফুটওয়্যার খাত, যা দেশের একটি উদীয়মান খাত হিসেবে বিবেচিত, রফতানি আয়ে ৩০ দশমিক ২৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করে ৪৯৪ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে, যা আগের বছর ছিল ৩৭৯ মিলিয়ন ডলার। ফার্মাসিউটিক্যালস খাত থেকে রফতানি আয় ৫ দশমিক ২৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯৭ মিলিয়ন ডলার।