Tuesday 15 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাজেট বাস্তবায়ন অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং: এমসিসিআই

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
৩ জুন ২০২৫ ২১:১৯ | আপডেট: ৪ জুন ২০২৫ ০০:১৯

ঢাকা: বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাজেট বাস্তবায়ন অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং বলে মনে করছে মেট্রপলিট্যান চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই)।

মঙ্গলবার (৩ জুন) ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটের উপর প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে সংগঠনটি এ মন্তব্য করছে। সংগঠনের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংগঠনটি বলছে, ‘বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাজেট বাস্তবায়ন অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। তবে বাজেটকে সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে হলে বাজেট ব্যবস্থাপনায় গতিশীলতা, করনীতি সংস্কার, করব্যবস্থার অটোমেশন, কর সংগ্রহে সামগ্রিক সিস্টেম লস কমানো এবং কর প্রশাসনের সক্ষমতা বৃদ্ধি তথা জনগণকে যথাযথ সেবা প্রদানের আরও সুযোগ রয়েছে বলে চেম্বার মনে করে। এমসিসিআই সবসময় কর প্রশাসনে অর্থবহ কাঠামোগত পরিবর্তনের পরামর্শ দিয়ে আসছে, যেন কর প্রশাসন যথাযথভাবে রাজস্ব সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়। কর হার বৃদ্ধির মাধ্যমে নিয়মিত কর প্রদানকারী ব্যক্তি বা ব্যবসায়ীদের উপর আরও বেশি করের বোঝা চাপানোর চেষ্টা; বিষয়টি সঠিকভাবে সমাধা করার জন্য এমসিসিআই জোর দাবি জানাচ্ছে। এই ব্যবস্থা সমাধানের জন্য করনেট বৃদ্ধি করা অতীব জরুরি।’

বিজ্ঞাপন

এমসিসিআই জানায়, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) সুপারিশকৃত করব্যবস্থার চলমান সংস্কারের শর্তাবলীর কারণে চূড়ান্ত বাজেট ঘাটতি বৃদ্ধি পেতে পারে।

উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এর ঋণের শর্ত অনুযায়ী কর-জিডিপির অনুপাত উন্নীত করতে গিয়ে করদাতাদের উপর বাড়তি করের বোঝা চাপানোর সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে। সুতরাং, এমসিসিআই সরকারি প্রকল্পের অর্থায়নের ক্ষেত্রে ব্যয় সীমিত করার জন্য যথাযথ আর্থিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার পরামর্শ দিচ্ছে।

সংগঠনটি বলছে, লাভ-ক্ষতি নির্বিশেষে বর্তমান বাজেটে টার্নওভার কর দশমিক ৬০ শতাংশ থেকে ১ শতাংশ এবং খাত বিশেষে ৩ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধির প্রস্তাব এবং কার্যকরী করহার কমানোর কোনোরূপ পদক্ষেপ না থাকায় এমসিসিআই হতাশা ব্যক্ত করছে। এমসিসিআই সবসময় বলে আসছে যে, প্রতিষ্ঠানের টার্নওভারের উপর ন্যূনতম কর (মিনিমাম ট্যাক্স) করনীতির পরিপন্থী। তাই এটি বাদ দেওয়া প্রয়োজন। ব্যবসায় লাভ হলে শুধুমাত্র করযোগ্য আয়ের উপর কর প্রযোজ্য হবে এবং রাজস্ব বা অন্যকোনো তহবিলের উপর প্রযোজ্য হবে না।

সংগঠনটি আরও জানায়, বর্তমানে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েই চলেছে। এই পরিস্থিতিতে ব্যক্তি শ্রেণীর করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা ২০২৬-২০২৭ এবং ২০২৭-২০২৮ করবর্ষের জন্য ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি করাকে এমসিসিআই স্বাগত জানাচ্ছে। তবে কর ধাপ ও কর হারের পরিবর্তনের ফলে সকল স্তরের করদাতাদের করের বোঝা বাড়বে। এই সীমা ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি করা গেলে নিম্নআয়ের জনগোষ্ঠী উপকৃত হত।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এমসিসিআই বিশ্বাস করে, ভ্যাটের জন্য ই-ইনভয়েসিং পদ্ধতি এবং ইলেকট্রনিক ফিসকাল ডিভাইস (ইএফডি) পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করলে সামগ্রিক ভ্যাট সংগ্রহ প্রক্রিয়া ত্বরাণ্বিত হবে। বর্তমান বাস্তবতায় ভ্যাটের নেট বৃদ্ধি করে সকল যোগ্য প্রতিষ্ঠানকে ভ্যাটের আওতায় নিয়ে আসা প্রয়োজন বলে চেম্বার মনে করে। চেম্বার আরও বিশ্বাস করে যে, কার্যকর অটোমেশন, ইন্টিগ্রেটেড ভ্যাট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সিস্টেম (আইভিএএস) ও অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস (এপিআই)-এর মধ্যে ইন্টারফেসসহ, ভ্যাট সিস্টেমকে কার্যকর করে তুলবে। এটি অধিক ভ্যাট সংগ্রহ নিশ্চিত করতে এবং আরো প্রতিষ্ঠানকে ভ্যাটের আওতায় আনতে সাহায্য করবে।

এছাড়াও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এমসিসিআই বাজেট বাস্তবায়নে সরকারের সাথে নিবিড়ভাবে সহায়তা করতে আগ্রহী, বিশেষ করে কর প্রশাসনের স্বচ্ছতা, ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক সংস্কারের ক্ষেত্রে। এমসিসিআই আশা করে, এই বাজেট অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

সারাবাংলা/ইএইচটি/আরএস

এমসিসিআই বাজেট প্রতিক্রিয়া ২০২৫-২৬

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর