রাজবাড়ী: জেলায় মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়, জাতীয় মহিলা সংস্থা কর্তৃক পরিচালিত তৃণমূল পর্যায়ে অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে নারী উদ্যোক্তাদের বিকাশ সাধন প্রকল্পের ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের তৃতীয় ও চতুর্থ ব্যাচের প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে চেক বিতরণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ জুন) জেলা প্রশাসন ও তৃণমূল পর্যায়ে অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে নারী উদ্যোক্তাদের বিকাশ সাধন প্রকল্পের আয়োজনে এই চেক বিতরণ করা হয়।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ইমরুল হাসানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য ও প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে চেক বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক ও জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান সুলতানা আক্তার।
এ সময়ে সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিজানুর রহমান, প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবীর, প্রশিক্ষক (ইন্টেরিয়র ডিজাইন অ্যান্ড ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ) মো. সৌরভ হোসেন, প্রশিক্ষক (বিউটিফিকেশন) কামরুন্নাহার, প্রশিক্ষক (ক্যাটারিং) ফারজানা আফরিন, প্রশিক্ষক (বিজনেস ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ই-কমার্স ) তৌবিয়া জামান, প্রশিক্ষক (ফ্যাশন ডিজাইন) মোছা. তানিয়া আক্তার উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জেলা প্রশাসক সুলতানা আক্তার বলেন, ‘নারী যখন কোনো কাজে উদ্যোগী হয় সেই উদ্যোগকে আরও একটু এগিয়ে নিতে সহযোগিতা করতে সরকারের এই প্রকল্প। আপনাদের কাজে অনেক প্রতিবন্ধকতা আসবেই সেটাকে জয় করে এগিয়ে যেতে হবে। হাল ছাড়া যাবে না। এখানে যারা এই প্রশিক্ষণ নিয়েছো অধিকাংশই শিক্ষার্থী ও কিছু গৃহবধূ। এই প্রশিক্ষণ থেকে নারীদের ভাগ্য বদল হবে। শিক্ষার্থীরা যারা পড়াশোনার পাশাপাশি এই ট্রেনিং করেছো এটা নিয়মিত প্র্যাকটিস করলে যদি তোমরা চাকরি নাও পাও তাহলে তখন এই প্রশিক্ষণ কাজে লাগাতে পারবে। স্বামীর পাশাপাশি তোমরাও টাকা অর্জন করে পরিবারের পাশে দাঁড়াতে পারবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তোমাদের বাড়ির আশেপাশে বাল্যবিবাহ হলে নিজে দায়িত্ব নিয়ে ৩৩৩ নম্বরে কল দিয়ে সেটা জানাবে। অনেক সময় নিজেরা প্রতিরোধ করলে অনেক সমস্যা সৃষ্টি হয়ে থাকে। তাই এই নাম্বারে কল দিলে কেউ জানতে পারবে না। তোমার জন্য একটা জীবন বাঁচবে।’
আলোচনা সভাশেষে ৫টি প্রশিক্ষণের ৫৮ জন প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে চেক বিতরণ করা হয়। বিজনেস ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ই কমার্স ১০ জনকে ৬ হাজার টাকার চেক, বিউটিফিকেশন ১৩ জনকে ১২ হাজার টাকার চেক, ক্যাটারিং ১০ জনকে ১২ হাজার টাকার চেক, ইন্টেরিয়র ডিজাইন অ্যান্ড ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ১০ জনকে ১২ হাজার টাকার চেক, ফ্যাশন ডিজাইন ১৫ জনকে ১২ হাজার টাকার চেক দেওয়া হয়।