কুমিল্লা: কুমিল্লায় বিকেলে জেল থেকে জামিনে বেরিয়েই রাতে অস্ত্র হাতে অপরাধে নামার প্রস্তুতি নেন চিহ্নিত তিন আসামি। তবে শেষরক্ষা হয়নি। কুমিল্লায় পুলিশের তৎপরতায় তারা অস্ত্রসহ ধরা পড়েছে।
মঙ্গলবার (৩ জুন) রাত সাড়ে ১০টার দিকে কুমিল্লা নগরীর টমছমব্রিজ এলাকায় চেকপোস্টে তল্লাশির সময় একটি সিএনজি থামিয়ে এ তিনজনকে আটক করে সদর দক্ষিণ মডেল থানার ইপিজেড ফাঁড়ির পুলিশ। এ সময় তারা পুলিশের ওপর গুলি চালানোর চেষ্টা করে। পালটা প্রতিরোধে একপর্যায়ে ধস্তাধস্তি হয় এবং এসআই (নিরস্ত্র) মো. খাজু মিয়া আহত হন।
তবে শেষপর্যন্ত তিনজনকে আটক করা হয়। এদের মধ্যে মো. খাইরুল হাসানের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও গুলিভর্তি একটি ম্যাগাজিন উদ্ধার করে পুলিশ।
আটকরা হলেন, নগরীর শ্রীবল্লভপুর এলাকার খোকন মিয়ার ছেলে মো. খাইরুল হাসান। তার বিরুদ্ধে কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন থানায় ৪০টি মামলা রয়েছে। জগন্নাথপুর গ্রামের জসিম উদ্দিনের ছেলে রাকিবুল হাসান রিয়াদ। তার বিরুদ্ধে ১৬টি মামলা রয়েছে এবং চাঁদপুর জেলার উত্তর মতলব উপজেলার নয়াকান্দি গ্রামের রফিকুল ইসলাম মোল্লার ছেলে মো. সোহাগ মোল্লা। তার বিরুদ্ধে রয়েছে ১৪টি মামলা।
বুধবার (৪ জুন) কুমিল্লা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে দুপুর ১২টার সময় পুলিশ সুপার নাজির আহম্মেদ খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আসন্ন ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে পশুর হাটে গরু ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের কাছ থেকে অর্থ ও মূল্যবান জিনিস ছিনতাই করার উদ্দেশ্যে তারা অস্ত্রসহ পদুয়ারবাজার বিশ্বরোডের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় পুলিশি তল্লাশিতে ধরা পরে যায়।’
আটকদের মধ্যে রাকিবুল ও সোহাগ সদ্য জামিনে মুক্তি পেয়েছে। খাইরুল জামিনে বের হয়েছিল এক মাস আগে। তাদের সঙ্গী আরও কয়েকজন পলাতক রয়েছে, যাদের ধরতে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি। সদর দক্ষিণ মডেল থানায় অস্ত্র আইনে তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা রুজু করা হয়। পরে গ্রেফতারদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।