Friday 06 Jun 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

১৮০ দিনের পরিকল্পনা
১ কোটি মানুষের জন্য নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে বিএনপি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৪ জুন ২০২৫ ১৭:৫৯ | আপডেট: ৪ জুন ২০২৫ ১৯:৪৫

ঢাকা: ক্ষমতায় গেলে ১৮০ দিনের কর্ম পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এক কোটি মানুষের জন্য নতুন কর্মসংস্থান করবে বিএনপি।

বুধবার (৪ জুন) দুপুরে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এ পরিকল্পনার কথা জানান।

২০২৫-২০২৬ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাতে এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে বিএনপি।

আমীর খসরু বলেন, ‘বিএনপির প্রধান অঙ্গীকার কর্মসংস্থান সৃষ্টি। সরকার গঠন করলে এক কোটি মানুষের জন্য নতুন কর্মের সংস্থান করবে। বিএনপির অতীতে সাফল্যের উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব থাকাকালীন উন্নয়ন নীতির একটি উল্লেখযোগ্য দিক ছিল শ্রমঘন শিল্প স্থাপন করা। পাশাপাশি উদ্বৃত্ত শ্রমকে বিদেশে রফতানির উদ্যোগ নেওয়া। এতে করে নতুন নতুন মানুষের কর্মের সংস্থান হয়েছে। শুধু তা–ই নয়, জনমানুষ এক শ্রমবাজার থেকে আরেক শ্রমবাজারে প্রবেশও করেছে।’

বিজ্ঞাপন

‘যেমন পোশাকশিল্পের বিকাশের কারণে কৃষিনির্ভর গ্রামীণ শ্রমবাজার থেকে মানুষজন পোশাক কারখানার শহরের দিকে যেতে শুরু করে। সাধারণ মানুষের আয় বাড়ার পাশাপাশি শহুরে নতুন মধ্যবিত্ত শ্রেণির বিকাশ শুরু হয়। এর সরাসরি প্রভাব আমাদের অর্থনীতি, সমাজ ও সংস্কৃতিতে লক্ষ্য করা যায়’- বলেন আমির খসরু।

তিনি বলেন, ‘সার্বিকভাবে ১৯৭৮ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত মোট দেশজ উৎপাদনের প্রবৃদ্ধি ছিল ২ থেকে ৩ শতাংশ। ১৯৯১-১৯৯৬ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৪-৫ শতাংশে। ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে ৬-৭ শতাংশ ছিল।’

আমীর খসরু বলেন, ‘সার্বিক উন্নয়ন ও নতুন কর্মসংস্থানের জন্য বিএনপি এবার দেশজ উৎপাদন বাড়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৮ শতাংশ। মূলত ১০টি খাতকে সার্বিক উন্নয়ন তথা কর্মসংস্থানের জন্য বিএনপি পরিকল্পনা তৈরি করেছে। এগুলো হচ্ছে- অবকাঠামোগত উন্নয়ন, ম্যানুফ্যাকচারিং, কৃষি, বিদেশে শ্রম রফতানি, আইসিটি ও ফ্রিল্যান্সিং, সেবা খাত, সবুজ জ্বালানি, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প এবং অন্যান্য।’

বেসরকারি খাতের প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিতকরণে বিএনপির পরিকল্পনা সম্পর্কে আমীর খসরু বলেন, ‘বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে বিএনপি সরকার বহুমুখী কৌশল গ্রহণ করবে। এই কৌশল কাঠামোগত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করবে। বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করবে। উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করবে।’

অগ্রাধিকার ক্ষেত্রগুলো উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নিয়ন্ত্রণমূলক কাঠামো সহজীকরণ ও আমলাতান্ত্রিক বাধা কমানতে ব্যবসায় নিবন্ধন, কর আনুগত্য এবং লাইসেন্সিং প্রক্রিয়া সহজ করবে। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে কোম্পানি নিবন্ধন ও ট্রেড লাইসেন্সিং চালু করা হবে। এসব পদক্ষেপ উদ্যোক্তাদের সময় ও খরচ কমাবে। এটি ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ এবং নারী নেতৃত্বাধীন ব্যবসার জন্য বিশেষভাবে উপকারী হবে।’

আমীর খসরু জানান- ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ এবং স্টার্টআপগুলির জন্য অর্থায়নের সুযোগ বৃদ্ধি করতে বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান এবং রাষ্ট্রীয় ব্যাংকের মাধ্যমে ঋণ সুবিধা প্রসারিত করা হবে। ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিম চালু করা হবে। ঋণদাতাদের ঝুঁকি কমাবে। অতিরিক্ত জামানত ছাড়াই ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগগুলোর ঋণ পাওয়া সহজ হবে। ভেঞ্চার ক্যাপিটাল এবং ক্রাউডফান্ডিংয়ের মতো বিকল্প অর্থায়ন পদ্ধতিকে উৎসাহিত করা হবে। স্টার্টআপ এবং উচ্চ-প্রবৃদ্ধি সম্পন্ন ফার্মগুলিকে সাহায্য করবে।’

সারাবাংলা/এজেড/এমপি

১৮০ দিনের কর্ম পরিকল্পনা নতুন কর্মসংস্থান বিএনপি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর