Friday 06 Jun 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

১৮০ দিনের পরিকল্পনা
পুঁজিবাজার উন্নতির জন্য স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবে বিএনপি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৪ জুন ২০২৫ ১৮:৩০ | আপডেট: ৪ জুন ২০২৫ ১৯:৪৫

ঢাকা: ক্ষমতায় গেলে ১৮০ দিনের কর্ম পরিকল্পনার অংশ হিসেবে পুঁজিবাজার উন্নতির জন্য স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবে বিএনপি।

বুধবার (৪ জুন) দুপুরে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এ পরিকল্পনার কথা জানান।

২০২৫-২০২৬ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাতে এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে বিএনপি।

আমীর খসরু বলেন, ‘পুঁজিবাজার উন্নতির জন্য তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়াতে স্বছতা এবং স্বাধীন নিরীক্ষা নিশ্চিত করা হবে। বিনিয়োগকারীর ভিত্তি সম্প্রসারণের জন্য বিনিয়োগ শিক্ষা প্রচার, লেনদেন খরচ কমানো এবং হিসাব খোলা সহজ করা হবে। ডিজিটাল ট্রেডিং প্ল্যাটফর্মগুলোকে আধুনিকীকরণ, অনলাইন আইপিও সাবস্ক্রিপশন ব্যবস্থাকে এর সঙ্গে যুক্ত করা এবং দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ফিনটেক প্রযুক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। করপোরেট বন্ডের জন্য একটি তারল্য বাজার তৈরি করতে পেনশন তহবিল, বীমা কোম্পানি এবং অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিনিয়োগে উৎসাহিত করা হবে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘অবকাঠামো ও শিল্প অঞ্চলে বিনিয়োগ বাড়াতে পরিবহন নেটওয়ার্ক এবং জ্বালানি সরবরাহসহ দক্ষ অবকাঠামো গড়ে তোলা শিল্প বিকাশের জন্য অত্যাবশ্যক। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (এসইজেড) এবং শিল্প পার্ক স্থাপন ও সম্প্রসারণ করবে। ফলে বিনিয়োগ আকৃষ্ট হবে। উৎপাদনশীলতা বাড়বে। স্থানীয় শিল্পকে বৈশ্বিক মূল্য শৃঙ্খলায় সংযুক্ত হবে।’

আমীর খসরু বলেন, ‘পোশাক শিল্প রফতানিতে প্রধান ভূমিকা রাখলেও রফতানি বৈচিত্র্য আনা প্রয়োজন। ওষুধ, তথ্যপ্রযুক্তি এবং কৃষি প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে মনোযোগ দেওয়া হবে। এতে অর্থনৈতিক ঝুঁকি কমবে। উন্নত প্রযুক্তি গ্রহণে সহায়তা করা হবে। গবেষণা ও উন্নয়নকে উৎসাহিত করা হবে। উদ্ভাবন, উৎপাদনশীলতা এবং প্রতিযোগিতাসক্ষমতা বাড়ানোতে জোড় দেওয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘আর্থিক খাতে টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য সাহসী সংস্কার বাস্তবায়ন জরুরি। এ লক্ষ্যে ব্যাংকিং খাতের সুশাসন উন্নত করা হবে। আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বাড়ানো হবে। অর্থায়নের জন্য পুঁজিবাজারের বিকশিত করা হবে।’

আমীর খসরু বলেন, ‘ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য ঋণ প্রক্রিয়া সহজ করা জরুরি। বাংলাদেশ ব্যাংকের সহায়তায় ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিম বাড়ানোর মাধ্যমে ছোট ব্যবসার জন্য জামানতের ওপর নির্ভরতা কমানো হবে। নগদ প্রবাহ-ভিত্তিক ঋণকে গুরুত্ব দিয়ে সম্পদ-ভিত্তিক ঋণের পরিবর্তে ব্যবসার পারফরম্যান্স এবং ডিজিটাল লেনদেনের ইতিহাস দেখে ঋণ দেওয়া হবে। বিশেষ করে খুচরা ও পরিষেবা খাতে এটি কার্যকর হবে। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ব্যাংকিংয়ের জন্য আলাদা বিভাগ খুলতে উৎসাহিত করা হবে। ক্ষুদ্র ব্যবসার হয়রানি বন্ধ করতে ঋণ শ্রেণিকরণ ও আদায় পদ্ধতির সংস্কার করা হবে।’

‘একই সঙ্গে ব্যাংকের স্বার্থও রক্ষা করতে হবে। গ্রামীণ উদ্যোক্তা এবং নারী পরিচালিত উদ্যোগগুলোতে পৌঁছাতে এজেন্ট ব্যাংকিং ও মোবাইল ব্যাংকিং সেবা বাড়ানো হবে। কৃষি প্রক্রিয়াকরণ, হালকা প্রকৌশল, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং নারী উদ্যোক্তাদের মতো উৎপাদনশীল বেসরকারি খাতে বাধ্যতামূলক ঋণ কোটা চালু করা হবে’- বলেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘আর্থিক পণ্যের বহুমুখীকরণে অনেক পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এর মধ্যে লিজ ও ফ্যাক্টরিংয়ের প্রসার ঘটানো, ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ও অ্যাঞ্জেল বিনিয়োগের জন্য আইনি ও আর্থিক কাঠামো তৈরি, প্রাইভেট ইক্যুইটি তহবিল সহায়তা, ইসলামিক আর্থিক পণ্য যেমন মুদারাবা ও ইজারা বিকল্পগুলো বাড়ানো, সবুজ বন্ড এবং ব্লেন্ডেড ফাইন্যান্স উপকরণ চালু, মোবাইল অপারেটর এবং ফিনটেক প্ল্যাটফর্মগুলোর মাধ্যমে ডিজিটাল ঋণ প্রদান অন্যতম।’

সারাবাংলা/এজেড/এমপি

১৮০ দিনের পরিকল্পনা আমীর খসরু বিএনপি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর