ঢাকা: মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা সামনে রেখে বৃহস্পতিবার (৫ জুন) থেকে শুরু হয়েছে দীর্ঘ ১০ দিনের সরকারি ছুটি। এরই মধ্যে ঘরমুখো মানুষের ঢল নেমেছে রাজধানীসহ দেশের বড় শহরগুলোতে। কেউ ফিরছেন প্রিয়জনের কাছে, কেউবা গ্রামে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিতে। তবে এ আনন্দযাত্রায় প্রকৃতির আচরণ নিয়ে একটু হলেও চিন্তিত সাধারণ মানুষ। কারণ, দেশের বিভিন্ন স্থানে এখনো চলছে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত।
আবহাওয়া অধিদফতরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশে মোটামুটি সক্রিয় রয়েছে। এর ফলে, সারা দেশেই রয়েছে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। বিশেষ করে সিলেট, রংপুর, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও চট্টগ্রামের কিছু কিছু অঞ্চলে এবং রাজশাহী ও খুলনার দু-এক জায়গায় দমকা হাওয়াসহ বজ্রসহ বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।
আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক সারাবংলাকে জানিয়েছেন, সামনের কয়েকদিনে ঘূর্ণিঝড় বা লঘুচাপের আশঙ্কা নেই। তবে মৌসুমি বায়ুর সক্রিয়তার কারণে ঈদের আগের দিনগুলোতে থেমে থেমে বৃষ্টির সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে। ঈদের দিন (৭ জুন) ও তার পরের দিনগুলোতেও দেশের বিভিন্ন স্থানে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে, যদিও বৃষ্টির প্রবণতা কিছুটা কমে আসবে বলেই পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।
বিশেষ করে সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণ হতে পারে, যা ঈদের দিন ভ্রমণ বা পশু কোরবানিতে কিছুটা সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। অন্যদিকে, ঈদের পর থেকে দেশের তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়তে পারে, ফলে গরম আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে চলতে হতে পারে সবাইকে।
তবে আবহাওয়ার এই অনিশ্চয়তা যেন ঈদের আনন্দকে ম্লান না করে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। ঈদযাত্রার সময় ছাতা ও রেইনকোট সঙ্গে রাখার পাশাপাশি যাত্রা শুরুর আগে আবহাওয়ার আপডেট জেনে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে।