কক্সবাজার: কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে বান্দবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ও কক্সবাজার সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার থেকে চোরাই পথে গরু-মহিষ প্রবেশ করছে। অস্ত্রধারী চোরাকারবারীদের কারণে হুমকির মুখে পড়ছে দেশিয় খামারী ও স্থানীয় লোকজন। এর ফলে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তবর্তী জেলা কক্সবাজার ও বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ফুলতলী, পাইনছড়ি, চাকঢালা, তুমব্রæ সহ সীমান্তের অন্তত ৩০টি পয়েন্ট দিয়ে প্রতিদিন প্রবেশ করছে শত শত বামির্জ গরু-মহিষ। চোরাই পথে আসা এসব পশু’র সাথে ইয়াবা ও আইসে’র মত মাদক প্রবেশের খবরও রয়েছে।
এদিকে, মিয়ানমারে চলমান সংঘাতের ফাঁদে সীমান্তের পথগুলো হয়ে উঠেছে চোরাচালানকারীদের হাইওয়ে। এই কারবার নিয়ন্ত্রণে রাখা আলোচিত শাহিন ডাকাতের আতঙ্ক যেন পিছু ছাড়ছে না ওখানকার লোকজনের। শাহিন পলাকত থাকলেও এখনো সীমান্তে সক্রিয় রয়েছে তার অস্ত্রধারী বাহিনী। প্রশাসনকে আরও কঠোর হওয়ার অনুরোধ স্থানীয়দের। চোরাই পথে আসা বার্মিজ গরু-মহিষের কারনে খামারীরা পড়েছে ক্ষতির মুখে।
নাইক্ষ্যংছড়ির সীমান্তবর্তী এলাকার গরুর খামারী সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘কোরবানিকে কেন্দ্র করে আমরা সারা বছর পশু মোটাতাজা করে বাজারে দাম পাইনা মিয়ানমার থেকে চোরাই পথে আসা গরু-মহিষের কারণে। এতে আমরা যারা খামারী রয়েছি তারা ক্ষতিগ্রস্থ।’
সীমান্তের আরেক খামারী লিয়াকত হোসেন জানান, সীমান্তে যারা গরুর খামার করছে তারা ব্যবসায় সুবিধা করতে পারে না। একে তো মিয়ানমারের রোগা গরু বাজার দখল করে রাখে। অন্যদিকে রয়েছে প্রভাবশালী চোরাকারবারী ও দালাল সিন্ডিকেট।
পুলিশের যোগসাজসে এসব কর্মকান্ডের নানা সমালোচনা থাকলেও বর্তমান দায়িত্বরত কর্মকর্তা কক্সবাজারের রামু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. তৈয়বুর রহমান জানান, তথ্য-প্রমানের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, মায়ানমার হতে বাংলাদেশে পাচারকালে একটি মহিষ, দুই রাউন্ড তাজা গোলা, মায়ানমার ও বাংলাদেশি মুদ্রাসহ সাতজন পাচারকারীকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড।
বুধবার (৪ জুন) রাতে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
কক্সবাজারের রামু’র গর্জনিয়া বাজার একসময় ছিল চোরাই গরুর মূল কেন্দ্র বিন্দু। সম্প্রতি প্রশাসন ওই বাজার বন্ধ করে দিলেও থেমে নেই চোরা চালান। এ পরিস্থিতিতে সীমান্তের লোকজন চোরাকারবারীদের বিরুদ্ধে বিজিবি’র কঠোরতা প্রত্যাশা করছেন।