ফরিদপুর: ফরিদপুর সদর উপজেলার হোগলাকান্দি গ্রামে মোবাইলে জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে ইজ্জল শেখ (৪৫) নামের এক ব্যক্তিকে মারধর ও বিষপ্রয়োগে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। রোববার (৮ জুন) সন্ধ্যায় ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
নিহত ইজ্জল শেখ ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের হোগলাকান্দি গ্রামের বাসিন্দা।
শনিবার (৭ জুন) ঈদের দিন দুপুরে হোগলাকান্দি বাজারের পাশে নদীর তীরে স্থানীয় হানিফ শেখের সঙ্গে মোবাইলে লুডু খেলায় বসেন ইজ্জল শেখ। খেলা শেষে ইজ্জল বাড়ি ফিরে যান। এরপর হানিফ তার মোবাইল খুঁজে না পেয়ে ইজ্জল শেখকে ডেকে আনেন। মোবাইল চুরির অভিযোগ তুলে তিনি ইজ্জলকে মারধর করেন। একপর্যায়ে ইজ্জল শেখ যেখানে বসে লুডু খেলছিলেন, সেখান থেকেই মোবাইলটি এনে হানিফকে দেন।
এ ঘটনায় বিকালে হানিফ শেখ ও তার লোকজন আবারও ইজ্জল শেখকে মারধর করেন। এরপর কিছু সময় পর হোগলাকান্দি বাজার সংলগ্ন এলাকায় রাস্তার পাশে স্থানীয়রা ইজ্জল শেখকে গুরুতর আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন, তার মুখ দিয়ে ফেনা বের হচ্ছিল। পরে হানিফ শেখের লোকজন সেখানে এসে ইজ্জলকে তুলে নিয়ে নদীর পানিতে চুবিয়ে অচেতন অবস্থায় ফেলে রেখে যায়। রাত ৯টার দিকে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান জানান, মৃত্যু বিষক্রিয়ায় এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালের এমন তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। প্রাথমিকভাবে এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ মোবাইলে জুয়া খেলা নিয়ে একই এলাকার হানিফ শেখের সঙ্গে নিহত ইজ্জলের বাকবিতণ্ডা ও মারধরের ঘটনা ঘটে। তারা তাকে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলেছে।
এ ঘটনায় ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ওসি।