Wednesday 16 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নোয়াখালীতে মাদরাসা ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার, হত্যার অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
৩০ এপ্রিল ২০২৫ ২২:২৩ | আপডেট: ১ মে ২০২৫ ০৯:৪৮

নোয়াখালী: নোয়াখালী পৌরসভার মহব্বতপুর গ্রাম থেকে জোবায়ের ইবনে জিদান (১২) নামে এক মাদরাসা ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের মা সাবরিনা খাতুন ঝুমা অভিযোগ করে বলেন, মাদারাসায় নির্যাতন করে তার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় জেলার নোয়াখালী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মহব্বতপুর গ্রামের কাঞ্চন মেম্বারের পোল সংলগ্ন তানজিরুল কোরআন সোবহানিয়া মাদরাসা থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত জোবায়ের ইবনে জিদান উপজেলার নোয়াখালী ইউনিয়নের মধ্য চর উরিয়া গ্রামের ফজল মিস্ত্রি বাড়ির ওমান প্রবাসী আমিরুল ইসলাম সোহেলের ছেলে।

নিহতের মা সাবরিনা খাতুন ঝুমা জানান, তার এক ছেলে এক মেয়ে। বড় ছেলে জিদান তানজিরুল কোরআন সোবহানিয়া মাদরাসার হিফজ বিভাগে আবাসিকে থেকে পড়ালেখা করে। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলের দিকে তার দাদা মো. নুরুল হক বাবুল তার নাতিকে দেখতে মাদরাসায় যায়। সেখানে তিনি দেখেন তার নাতি বমি করে পড়ে আছে মাদরাসার ফ্লোরে। তখন মাদরাসার মুতামিম আফজাল হোসাইন জিদানের দাদাকে জানায় তার নাতি পড়েলেখা করতে পারে না। এজন্য শাস্তি দিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সাবরিনা খাতুন আরও বলেন, আজ বিকেল আনুমানিক সাড়ে ৫টার দিকে মাদরাসার মুতামিম ফোন করে আমাকে জানায় আপনারা দ্রুত ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে আসেন। আপনার ছেলে মাদরাসায় গলায় ফাঁস দিয়েছে। জুমা অভিযোগ করে বলেন, মাদরাসার শিক্ষকরা আমার ছেলেকে হত্যা করেছে। এরপর ফাঁসির নাটক সাজায়। তারা আমার ছেলে এর আগেও শারীরিক ভাবে নির্যাতন করেছে।

তানজিরুল কোরআন সোবহানিয়া মাদরাসার মুতামিম আফজাল হোসাইন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ওই ছাত্র বিকেলের দিকে মাদরাসার শৌচাগারে ঢুকে। ওই সময় আরও দুজন ছাত্র শৌচাগারে ঢুকতে অপেক্ষায় ছিল। সেখানে জিদান পায়জামার সঙ্গে থাকা নেয়ার (রশি) দিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। তখন ওই ছাত্ররা শৌচাগারে ঢুকতে দরজা ধাক্কাধাক্কি করলে দরজা খুলে যায়। পরে তারা জিদানের মরদেহ দেখে আমাদের জানায়।

২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার মো. শাহরিয়ার বলেন, ফাঁস হলে পিছনের দিকে দাগ থাকার কথা না। ফাঁসের বিষয় হলে পিছনে দাগ থাকত না। কিন্ত আমি প্রাথমিক অবস্থায় জিদানের গলার পিছনের দিকে তার দাগ দেখতে পেয়েছি। তাই প্রাথমিকভাবে এটিকে আত্মহত্যা মনে হচ্ছে না। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

সুধারাম মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.কামরুল ইসলাম বলেন, মাদরাসায় থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শেষে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সারাবাংলা/এইচআই

নিহত মরদেহ মরদেহ উদ্ধার মাদরাসা ছাত্র হত্যা হত্যার অভিযোগ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর