Friday 13 Jun 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বর্ণিল অভ্যর্থনায় সেনা জীবন থেকে ফিরলেন বিটিএস তারকারা

এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক
১২ জুন ২০২৫ ১২:০৫ | আপডেট: ১২ জুন ২০২৫ ১২:০৯

কোলাজ ছবি: সারাবাংলা

দক্ষিণ কোরিয়ায় বাধ্যতামূলক সামরিক সেবা শেষ করে অবশেষে ঘরে ফিরেছেন বিশ্বখ্যাত কে-পপ ব্যান্ড বিটিএসের সদস্য আরএম, ভি, জিমিন ও জাংকুক।

চুনচন শহরের সামরিক ঘাঁটি থেকে মঙ্গলবার (১০ জুন) মুক্তি পান কিম নামজুন (আরএম) ও কিম তেহিয়্যুং (ভি)। তারা সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে। ভক্তদের অভ্যর্থনার মধ্যে তারা ক্যামেরার সামনে স্যালুট ও হাসিমুখে নিজেদের মুক্তির কথা জানান।

সেনা ঘাঁটি থেকে বেড়িয়ে ভক্তদের অভ্যর্থনা জানাচ্ছেন আরএম এবং ভি। ছবি: সংগৃহীত

অন্যদিকে, জিমিন ও জাংকুক বুধবার (১১ জুন) সেনা সেবা শেষ করে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক ঘাঁটি থেকে বেরিয়ে আসেন। প্রায় ২০০ ভক্ত তাদের স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন, যাঁদের অনেকেই এসেছেন দূর মেক্সিকো, তুরস্ক ও ব্রাজিল থেকে। মেক্সিকো থেকে আসা ভক্ত রেইনা লোরেনা কুইনটেরো সেভিয়া বলেন, ‘১৮ ঘণ্টার প্লেন যাত্রা একদমই কষ্টকর মনে হয়নি। তাদের দেখতে পারাটা এতটাই রোমাঞ্চকর।’

বিজ্ঞাপন

সামরিক ঘাঁটি থেকে বেরিয়ে অভ্যর্থনায় সিক্ত জিমিন এবং জাংকুক। ছবি: সংগৃহীত

প্রসঙ্গত, দক্ষিণ কোরিয়ার আইনে ১৮ থেকে ২৮ বছর বয়সী সব পুরুষের জন্য ১৮ থেকে ২১ মাসের সামরিক সেবা বাধ্যতামূলক। তবে ক্রীড়াবিদ ও ধ্রুপদী সঙ্গীতশিল্পীরা কিছু বিশেষ পুরস্কার অর্জনের মাধ্যমে ছাড় পেতে পারেন। কিন্তু কেপপ তারকারা এই ছাড়ের আওতায় পড়েন না। বিটিএসের সাত সদস্যের ছয়জন ইতোমধ্যে সেবা সম্পন্ন করেছেন।

সাত সদস্যের মধ্যে জিন সেনাবাহিনী থেকে মুক্তি পেয়েছেন ২০২৪ সালের জুনে এবং জে-হোপ গত বছরের অক্টোবরে। সুগা বর্তমানে বিকল্প সেবায় (সমাজসেবা প্রতিনিধি) কাজ করছেন এবং চলতি মাসের শেষেই তার সেবার মেয়াদ শেষ হবে।

সেনা ঘাঁটির বাইরে অপেক্ষারত ভক্তরা। ছবি: সংগৃহীত

বিটিএস ২০১৩ সালে আত্মপ্রকাশের পর থেকে বিশ্বজুড়ে বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। তারা বহু মিলিয়ন অ্যালবাম বিক্রি করেছে, গ্র্যামি মনোনয়ন পেয়েছে এবং বিলবোর্ড ২০০ চার্টের শীর্ষেও উঠেছে। তাদের সাফল্যের জোয়ারে ভেসেছে তাদের লেবেল হাইব ও বিগ হিট মিউজিক। ২০২০ সালে হাইব স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর থেকে একপর্যায়ে তাদের ৯৫ শতাংশ রাজস্বই এসেছে বিটিএসের উপর নির্ভর করে।

২০২৪ সালে কোম্পানির মুনাফা কমে গেলে হাইব এক বিবৃতিতে জানায়, বিটিএসের ‘অস্থায়ী বিরতি’ তার অন্যতম কারণ। এ সপ্তাহে সেউলে হাইবের সদর দফতরে বড় করে লেখা হয়, ‘We are back’- ফিরে এসেছে তাদের সবচেয়ে বড় সম্পদ।

বিটিএসের সদস্যরা। ছবি: সংগৃহীত

২০২২ সালে বিটিএস সামরিক সেবা পালনের ঘোষণা দেয়। এর আগে কোরীয় সংসদ আইন সংশোধন করে কেপপ তারকাদের ৩০ বছর বয়স পর্যন্ত সেনা কর্মসূচি স্থগিত রাখার সুযোগ দিয়েছিল। তবুও তারা সবাই আইন মেনে দায়িত্ব পালনের সিদ্ধান্ত নেয়, যা ভক্তদের কাছে প্রশংসিত হয়।

২০২৫ সালে আবারও একত্রিত হয়ে নতুন মিউজিক প্রজেক্টে ফিরবেন বলে জানানো হয়েছে বিটিএসের পক্ষ থেকে।

সারাবাংলা/এনজে

বর্ণিল অভ্যর্থনা বিটিএস সেনা জীবন