পঞ্চগড়: পঞ্চগড়ের ঘাগড়া সীমান্তে গুলিবিদ্ধ হয়ে রাজু ইসলাম (৩৪) নামে এক গরু ব্যবসায়ী মারা গেছে।
রোববার (১৫ জুন) সকালে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
এর আগে, শনিবার (১৪ জুন) গভীর রাতে নীলফামারি ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের আওতাধীন পঞ্চগড়ের সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের ঘাঘড়া সীমান্তের মেইন পিলার ৭৫১ এর টি নম্বর সাব পিলার এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয় রাজু।
নিহত রাজু ঘাগড়া সীমান্ত এলাকার ঝুলিপাড়া গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস এর ছেলে।
পুলিশ ও সীমান্তের বাসিন্দরা জানান, শনিবার রাতে রাজুসহ ৪/৫ জন যুবক ঘাগড়া ঝুলিপাড়া সীমান্তের কাছে গরু আনতে যায়। এ সময় ওই সীমান্তের বিপরীতে ভারতের কাঞ্চজঙ্ঘা বিওপির বিএসএফ সদস্যরা তাদের ধাওয়া দেয়। এক পর্যায়ে সকলে পালিয়ে আসলেও রাজুর দুই পায়ে গুলি লাগে। ঘটনাস্থলের পাশেই রাজু বাড়ি হওয়ায় গুলিবিদ্ধ অবস্থাতেই রাজু বাড়ি ফিরে।
আহত অবস্থায় পরিবারের সদস্যসহ স্থানীয়রা তাকে রংপুর মেডিক্যেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে সে মারা যায়। রোববার সকালে প্রাথমিক সুরতহাল শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।
তবে রাজু বিএসএফের গুলিতে মারা গেছেন,নাকি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন এ বিষয়টি স্পষ্টভাবে বিজিবি না জানালেও। পুলিশ বলছে, প্রাথমিক সুরতহালে মরদেহের পায়ে গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য হাসিবুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বিজিবিকে বারবার বলি সীমান্তে যেন কেউ যেতে না পারে। বিজিবির অবহেলার কারণে এই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। তার পায়ে গুলি লেগেছে এটা সত্য। তবে এর আগে এক দুইবার তার হার্ট এটাক করেছিল। তার হার্টের সমস্যা আছে।’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. শইমী ইমতিয়াজ বলেন, ‘নিহতের দুই পায়ে গুলির চিহ্ন রয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। হার্ট এটাকের বিষয়টি চিকিৎসক বলেতে পারবেন। এছাড়া মৃত্যুর সঠিক কারণে ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে।’
তবে নীলফামারি ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল শেখ মো. বদরুদ্দোজা বলেন, ‘বিষয়টি জানার পর বিজিবির সদস্যরা নিহতের পরিবারের কাছে গেলে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকেও হ্রদ রোগে মারা যাওয়ার কথা স্বীকার করেন৷ তবে পায়ের আঘাতের বিষয়ে তার পরিবার কিছু বলতে পারেনি৷ তার মৃত্যু হাসপাতালে নেওয়ার পথে হয়েছে৷ আমরা বিষয়টি অনেক গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছি। তিনি কিভাবে মারা গেছেন৷ তবে বিএএসফ পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হলে তারা এমন গুলির ঘটনার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন৷’