Monday 16 Jun 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

দুদকের মামলায় যবিপ্রবির সাবেক ভিসি কারাগারে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
১৬ জুন ২০২৫ ২২:৩৫ | আপডেট: ১৬ জুন ২০২৫ ২২:৩৬

যবিপ্রবির সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. আব্দুস সাত্তার

যশোর: যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. আব্দুস সাত্তারকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

সোমবার (১৬ জুন) দুপুরে যশোরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে তিনি আত্মসমার্পন করে জামিনের আবেদন করলে বিচারক শেখ নাজমুল আলম জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

তিনি দুদকের করা অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের মামলার আসামি ছিলেন। তার বিরুদ্ধে আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি ছিল। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুদকের পিপি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম।

এই মামলার অপর দুই আসামি হলেন— যবিপ্রবির উপ-পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) আব্দুর রউফ ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাবেক উপ-উপাচার্য ড. কামাল উদ্দিন।

বিজ্ঞাপন

আদালত সূত্রে জানা গেছে, অবৈধভাবে নিয়োগ এবং সরকারি ৬১ লাখ ৩১ হাজার ৭৩২ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০২৩ সালের ২১ আগস্ট প্রফেসর ড. আব্দুস সাত্তারসহ ৩ আসামির বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদক যশোরের তৎকালীন উপপরিচালক আল-আমিন। মামলার তদন্ত শেষে উল্লিখিতদের অভিযুক্ত ৩ জনের বিরুদ্ধে সম্প্রতি আদালতে চার্জশিট দাখিল করে দুদক। আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।

পরবর্তীতে তাদের মধ্যে দুই আসামি আব্দুর রউফ ও ড. কামাল উদ্দিন জামিনে মুক্তি পান। আজ সাবেক ভিসি আদালতে আত্মসমার্পন করে জামিনের আবেদন করলে তা বাতিল হয় ও তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, যবিপ্রবিতে ২০০৯ সালের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সহকারী পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে আবেদন করেন আসামি আব্দুর রউফ। নিয়োগের জন্য গঠিত তিন সদস্য বিশিষ্ট বাছাই বোর্ডের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন উপাচার্য প্র. ড. আব্দুস সাত্তার। বাছাই বোর্ডের আরেক সদস্য ছিলেন ইবির উপ উপাচার্য ড. কামাল উদ্দিন। একই বছরের ২২ আগস্ট মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। এ সময় আরও তিন প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। কিন্তু কাউকে পাস করানো হয়নি। বিজ্ঞপ্তির শর্ত অনুযায়ী পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কর্মকর্তা হিসেবে আব্দুর রউফের কোনো পূর্ব-অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও বাছাই বোর্ড অবৈধভাবে তাকে প্রথমে সহকারী পরিচালক পদে নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা করেন। পরে অভিজ্ঞতার ঘাটতি থাকার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে তাকে সেকশন অফিসার (গ্রেড-১, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে নিয়োগ দেওয়া হয়।

তথ্যমতে, রিজেন্ট বোর্ড সভাপতি হিসেবে সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. আব্দুস সাত্তার উন্মুক্ত বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই তাকে সেকশন অফিসার হিসেবে নিয়োগের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন। আব্দুর রউফ সেকশন অফিসার পদে অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে কর্মরত থাকা অবস্থায় সিলেকশন গ্রেডসহ বিভিন্ন সুবিধাপ্রাপ্ত হয়ে বিভাগীয় প্রার্থীর সুবিধা নিয়ে ২০১৪ সালে সহকারী পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে এবং ২০২১ সালে উপপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত।

অবৈধ নিয়োগের কারণে ২০০৯ সালের অক্টোবর থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত তিনি বেতন-ভাতা বাবদ মোট ৬১ লাখ ৩১ হাজার ৭৩২ টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে বাদী মামলায় উল্লেখ করেন।

প্রসঙ্গত, অবৈধভাবে শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) সাবেক দুই ভিসি আব্দুস সাত্তার ও আনোয়ার হোসেনসহ চার শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলা চলমান রয়েছে।

সারাবাংলা/এইচআই

কারাগারে দুদক প্রফেসর ড. আব্দুস সাত্তার যবিপ্রবি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর