কুষ্টিয়া: জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সরকারি বাসভবনের দেয়ালে আঁকা গ্রাফিতি ও প্রতিবাদী লিখন মুছে ফেলার অভিযোগ উঠেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ মনজুরুল করিমের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) সরজমিনে দেখা যায়, কুষ্টিয়া পৌরসভার সামনে কুষ্টিয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের সরকারী বাসভবনের দেয়াল থেকে গণঅভ্যুত্থানে আঁকা গ্রাফিতি ও প্রতিবাদী লিখন মুছে সাদা রং করে দেয়ালের ওপর তারকাঁটা দেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় গণঅভ্যুত্থানে আহত শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘এসব চিত্র ও স্লোগান শুধু প্রতিবাদের প্রতীকই ছিল না, আন্দোলনের স্মারক ছিল। ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য প্রকৌশলী মনজুরুল করিমের মত কিছু মানুষ চেষ্টা করে যাচ্ছে। আমারা এই পরিকল্কনা বাস্তবায়ন হতে দেব না। আমি তার নামে মামলা করব।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুষ্টিয়া জেলা শাখার সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘২৪-এর গণঅভ্যুত্থানকে ধারণ করার জন্য দেয়ালে গ্রাফিতি আঁকা ছিল। সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর বাসভবনের দেয়াল থেকে গ্রাফিতি মুছে দেওয়া হয়েছে। তিনি আমাদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং এখানে আবার জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গ্রাফিতি করে দিবেন বলে আমাদের জানিয়েছেন।’
সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ মনজুরুল করিম সারাবাংলাকে বলেন, ‘বাসভবনের দেয়ালটি নিচু ছিল, এখন উঁচু করা হয়েছে। সেখানে যে গ্রাফিতি ছিল সেগুলো সময়ের ব্যবধানে বিবর্ণ হয়ে যায়। রোদ-বৃষ্টি-ঝড়ে অনেক জায়গা নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। গ্রাফিতি আন্দোলনের একটি গৌরবময় অধ্যায়। সরকারি ভবনগুলো রুটিন অনুযায়ী সংস্কার করা হয়। সেই রুটিনেই এটা মেরামত এবং সাদা রং করা হয়েছে।’