শ্রীলংকায় বাংলাদেশি ব্যাটারদের রেকর্ড বরাবরই ভালো। আশরাফুলের সে ১৯০ কিংবা মুশফিকের ডাবল সেঞ্চুরি, শ্রীলংকার ভেন্যুতে বাংলাদেশের ব্যাটাররা অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে ভালো করে আসছেন। এবারের সিরিজের প্রথম দিনেও এর ব্যতিক্রম হলো না। গলে সিরিজের প্রথম ম্যাচে জোড়া সেঞ্চুরি পেয়েছেন শান্ত ও মুশফিক। দিনশেষে মুশফিক বলছেন, বাংলাদেশের পর শ্রীলংকার মাটিতে খেলতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন তিনি।
৪৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে দলকে বিপদমুক্ত করেছেন শান্ত-মুশফিক জুটি। দিনশেষে শান্ত অপরাজিত আছেন ১৩৬ রানে, মুশফিক করেছেন ১০৫ রান।
মুশফিক বলছেন, শ্রীলংকায় খেলতে খুবই পছন্দ করেন তিনি, ‘বাংলাদেশের পর শ্রীলংকায় খেলতে ভালোবাসি। লাল-সাদা যে বলই হোক না কেন, এখানে স্পোর্টিং উইকেট হয়। ব্যাটার-বোলার-স্পিনার যাই হোক না কেন, নিজের শক্তি কাজে লাগাতে পারলে এখানে ধারাবাহিক হতে পারবেন। আমি তরুণদের এটাই বলেছি। অনেকেই এখানে প্রথম খেলছে। বল টার্ন হলে, পুরাতন হলে এখানে মানিয়ে খেলতে হবে। গলে খেলতে আমার দারুণ লাগে। এখানে ব্যাটিং করতে পছন্দ করি।’
বেশ কয়েক মাস ধরেই তার ফর্ম নিয়ে ছিল নানা সমালোচনা। সেসব সমালোচনার জবাব ব্যাট হাতেই দিয়েছেন মুশফিক। মুশফিক জানালেন, শুধু শ্রীলংকা নয়, সবার বিপক্ষেই রান করতে চান তিনি, ‘আমি সবাইকেই সম্মান করি। সব প্রতিপক্ষের বিপক্ষেই রান করতে চাই। হয়তো শ্রীলংকার বিপক্ষে আমার রেকর্ড একটু ভালো। তবে এর মানে এই না যে সহজে রান পেয়ে যাচ্ছি। ৯৯ রানের সময় আমি অনেকটা সময় নিয়েছি সেঞ্চুরি পেতে। তারা বাজে বল দেয়নি। আমি নিয়ন্ত্রণ রেখেই ব্যাটিং করেছি।’
মুশফিক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, শান্তর ডাবল সেঞ্চুরি দেখতে চান তিনি। শান্তর মতো নিজেও ২০০ ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখছেন, ‘সবসময় চেষ্টা করি সুযোগ থাকলে দুই হাতে লুফে নেওয়ার। ভালোর কোনো শেষ নেই। ২০০, ২৫০, ৩০০, ৩৫০ করে নট আউট থাকেন, কেন নয়? কষ্ট করেই এগিয়ে যেতে হবে। শুধু আমি না, দলের সবাই এটা বিশ্বাস করে।’