Wednesday 18 Jun 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের শ্রীলংকার ওষুধ খাতে বিনিয়োগের আহ্বান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১৮ জুন ২০২৫ ১৯:৫২ | আপডেট: ১৮ জুন ২০২৫ ২০:৪৭

ঢাকা: শ্রীলংকার ওষুধ খাতে বাংলাদেশী উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন সে দেশের ব্যবসায়ীরা।

বুধবার (১৮ জুন) শ্রীলংকায় ন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স অব শ্রীলংকা আয়োজিত ‘অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সম্প্রসারণে বাংলাদেশ-শ্রীলংকার বাণিজ্যিক সম্পর্কের উন্নয়ন’ শীর্ষক বিজনেস প্লেনারি সেশনে এ আহ্বান জানানো হয়। শ্রীলংকা সফররত ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)-এর প্রতিনিধিদলের সদস্যরা ওই সেমিনারে অংশ নেন। শ্রীলংকায় অবস্থিত বাংলাদেশের হাইকমিশনের সার্বিক সহযোগিতায় অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়।

ঢাকা চেম্বারের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে ঢাকা চেম্বারের প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানিয়ে ন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স অব শ্রীলংকার সভাপতি আনূরা ওয়ারনা কুলাসুরিয়া বলেন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে পারষ্পরিক আস্থা ও বিশ্বাস জরুরি এবং দুদেশের বেসরাকরিখাতের মধ্যকার এ ধরনের সমন্বয় দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে ।

ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, বিগত কয়েক দশকে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ এবং ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বেশ স্থিতিশীল ছিল। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, ঔষধ, চামড়াজাত পণ্য, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ পণ্য, ইলেকট্রনিক্স ও হালকা প্রকৌশল এবং তথ্য-প্রযুক্তি প্রভৃতি খাত এ অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

তিনি জানান, শ্রীলংকার উদ্যোক্তারা ইতোমধ্যে বাংলাদেশে ব্যাংক ও আর্থিক খাত, টেক্সটাইল ও তৈরি পোশাক, জ্বালানী, অবকাঠামোসহ বিভিন্ন খাতে ৪৩৮.১১ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। সে দেশের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় খাতগুলোতে আরও বেশি হারে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের অধিকতর উন্নয়নে প্রায় তিন দশক পূর্বে সম্পাদিত ‘ডাবল ট্যাক্সেশন এভয়ডেন্স এগ্রিমেন্ট’ যুগোপযোগীকরণের উপর জোরারোপ করেন ঢাকা চেম্বার সভাপতি।

শ্রীলংকা-বাংলাদেশ বিজনেস কো-অপারেশন কাউন্সিলের সভাপতি আন্দ্রে ফার্নান্দো তার দেশের ওষুধ শিল্পের উন্নয়ন ও বিনিয়োগে এগিয়ে আসার জন্য বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান। এছাড়া প্যাকেজিং, লজিস্টিক ও রপ্তানিমুখী পণ্য উৎপাদন খাতেও বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

শ্রীলংকা এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের চেয়ারম্যান মানগালা ওয়াইজেসিঙ্গহি বলেন, শ্রীলংকা তার রফতানি পণ্যের বাজার সম্প্রসারণ ও পণ্যের বহুমুখীকরণে অধিক প্রাধান্য দিচ্ছে। ২০২৪ সালে বাংলাদেশ থেকে ওষুধ, তৈরি পোশাক, ফেব্রিক্স এবং কেমিক্যাল প্রভৃতি পণ্য আমদানি করা হয়েছে। এছাড়াও সূতা ও টেক্সটাইল, ফেব্রিক্স, মসলা, পশু খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, বাদাম ও কৃষি পণ্য প্রভৃতি খাতে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে।

বোর্ড অব ইনভেস্টমেন্ট অফ শ্রীলংকা রেনুকা এম ওয়াইরাকুনে বলেন, দুদেশের মধ্যকার এফটিএ স্বাক্ষরের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ অনেকাংশে বৃদ্ধির পাশাপাশি শুল্ক বিষয়ক প্রতিবন্ধকতাও নিরসন হবে। শ্রীলংকায় ওষুধ, মেডিক্যাল যন্ত্রপাতি এবং ফেব্রিক্স খাতে বিদেশি বিনিয়োগের জন্য সকল সেবা সম্বলিত ১৫টি বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করা হয়েছে, সেখানে বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা বিনিয়োগ করতে পারে। সেই সাথে অবকাঠামো, পর্যটন, তথ্য-প্রযুক্তি এবং শিক্ষা প্রভৃতি খাত শ্রীলংকায় বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য অত্যন্ত সম্ভাবনাময় বলে তিনি মন্তব্য করেন।

অনুষ্ঠানে ঢাকা চেম্বারের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে ৭০টি শ্রীলংকান ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধির মধ্যকার ১৫০টি বিটুবি ম্যাচ-মেকিং অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে দুদেশের উদ্যোক্তারা নিজেদের ব্যবসা ও বিনিয়োগ বিষয়ক তথ্য আদান-প্রদানের সুযোগ পান, যা ভবিষ্যতে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।

সারাবাংলা/ইএইচটি/আরএস

ঢাকা চেম্বার প্রতিনিধি দল শ্রীলংকা সফর

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর