ঢাকা: আদালত অবমাননার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ দুজনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হওয়া মামলার পূর্ণাঙ্গ শুনানি আজ।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে এ শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। ট্রাইব্যুনালের বাকি সদস্যরা হলেন- বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
অন্য আসামি হলেন- গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শাকিল আকন্দ বুলবুল ওরফে মো. শাকিল আলম।
এর আগে, ৩ জুন এ মামলার পরবর্তী শুনানিসহ আদেশের জন্য আজকের দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল। জাতীয় দুটি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার পরও আদালতে হাজির না হওয়ায় এ আদেশ দেন।
প্রসিকিউশন সূত্র জানায়, পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরও হাজির হয়ে বা আইনজীবীর মাধ্যমে কোনো ব্যাখ্যা দেননি শেখ হাসিনা। আইন অনুযায়ী তাকে শাস্তি দিতে পারবে আদালত। অভিযোগ প্রমাণ হলে এক বছরের সাজা ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে।
গত ২৬ মে শেখ হাসিনাকে উপস্থিত হতে দৈনিক যুগান্তর ও ইংরেজি নিউ এজ পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এর আগে, ২৫ মে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে তাদের হাজির হওয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ মুঠোফোনে ভারত থেকে বক্তব্য দেওয়ার মাধ্যমে বিচারকাজ বাধাগ্রস্ত করা ও হুমকির অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনে তদন্ত সংস্থা। এ ঘটনায় শেখ হাসিনা ও গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাকিল আলম বুলবুলের বিরুদ্ধে গত ৩০ এপ্রিল আদালত অবমাননার অভিযোগ দাখিল করা হয়। অভিযোগটি আমলে নিয়ে ১৫ মে’র মধ্যে তাদের লিখিত জবাব দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জবাব না দেওয়ায় ২৫ মে দুই আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু তারা হাজির হননি। এর পরিপ্রেক্ষিতে দুটি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
উল্লেখ্য, ‘২২৭টি মামলা হয়েছে, ২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়েছি’- শেখ হাসিনার দেওয়া এমন অডিও বক্তব্যের প্রমাণ পেয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্তকারীরা। এরপরই আদালত অবমাননার আবেদন দাখিল করা হয়।