ঢাকা: ঈদুল আযহার দীর্ঘ ছুটির পর দেশের পুঁজিবাজারে উত্থান-পতন চলছে। মূলত বিনিয়োগকারীদের আস্থাহীনতার কারণে এমন অবস্থা বিরাজ করছে। আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তি কেটে যাওয়ার পরও চলতি সপ্তাহে একদিন পরপর সূচকের ওঠা-নামা চলছে। এছাড়া অতি সম্প্রতি ই্সরায়েল ও ইরানের যুদ্ধের প্রভাবও পুঁজিবাজারে পড়েছে বলে কারো কারো অভিমত।
বাজার চিত্রে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৭৫৪ পয়েন্টে। যা আগের দিন ৩৭ পয়েন্ট বেড়েছিল।
বৃহম্পতিবার সকালে সূচকের ইতিবাচক প্রবণতা দিয়ে শুরুর পর দিনশেষে ডিএসইতে ৩০৫ কোটি ১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের দিন তথা বুধবার (১৮ জুন) লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৩২৭ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ২২ কোটি ৮২ লাখ টাকার। অর্থাৎ আগের দিনের চেয়ে লেনদেন কমেছে ৭ শতাংশ ।
এদিকে বৃহস্পতিবার ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৯৮টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ৭১ টির। অর্থাৎ তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে ১৭.৮৪ শতাংশের দর বেড়েছে। আরে এর বিপরীতে আর দর কমেছে ২৫৮ টি। অর্থাৎ তালিকাভুক্ত ৬৪.৮২ শতাংশের দর কমেছে। দর পরিবর্তন হয়নি ৬৯ টির। সেই হিসেবে ১৭.৩৪ শতাংশের দর অপরিবর্তিত হয়েছে।
অপরদিকে সিএসইতে বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) ১১ কোটি ২৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২১০ টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ৮০টির, কমেছে ১০০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩০টি কোম্পানির শেয়ারের দর।
এদিন সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩২৭১ পয়েন্টে। আগের দিন সিএসইতে ২৬ কোটি ১৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছিল। আর সূচক সিএএসপিআই ১১ পয়েন্ট বেড়েছিল।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডিএসই’র এক ব্রোকারেজ হাউসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, জাতীয় নির্বাচন নিয়ে রোডম্যাপের ঘোষণাতে ইতিবাচক প্রবণতা ফিরলেও ইসরায়েল ও ইরানের যুদ্ধ পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার কারণে শেয়ারবাজারের অস্থিরতা কাটছে না। মূলত জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার আশঙ্কায় বিনিয়োগকারীরা শেয়ার ক্রয়ে আগ্রহ হারাচ্ছেন।