ঢাকা: রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতির পরিবর্তনের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। তবে এ পরিবর্তনের প্রক্রিয়া নিয়ে দলগুলোর মধ্যে ভিন্নমত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
নুর বলেন, ‘বিদ্যমান ব্যবস্থার কারণেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রক্রিয়ার পরিবর্তন চাওয়া হয়েছে। বর্তমানে সংসদ রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করে। কিন্তু গণঅধিকার পরিষদ দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষ উভয় দ্বারা রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রস্তাব দিয়েছে। এ ছাড়াও, জেলা পরিষদ এবং সিটি করপোরেশনের সমন্বয়ে গঠিত একটি বিশেষ নির্বাচকমণ্ডলী দ্বারা রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রস্তাবও তাদের বিবেচনাধীন রয়েছে।’
তিনি জানান, গণঅধিকার পরিষদ বিশেষভাবে ভোটারদের চিহ্নিত করার পক্ষে মত দিয়েছে। তাদের প্রস্তাবনায় ৬৪ জন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ১২ জন সিটি করপোরেশনের মেয়রসহ মোট ৭৬ জনকে ভোটার হিসেবে বিবেচনা করার কথা বলা হয়েছে। এর সঙ্গে, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের ৫০০ সদস্যকে যুক্ত করে মোট ৫৭৬ সদস্যের একটি ইলেক্টরাল কলেজ গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে।
নুর বলেন, ‘কিছু দল ৭০ হাজার জনপ্রতিনিধি (ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে সকল সংসদ সদস্য) দ্বারা রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পক্ষে মত দিয়েছে, আবার অনেক দল শুধুমাত্র পার্লামেন্টের উভয় কক্ষের সদস্যদের দ্বারা গোপন ব্যালটে নির্বাচনের পক্ষে। গোপন ব্যালটে ভোটগ্রহণের বিষয়ে সবাই একমত পোষণ করেছে।’
নুর আরও বলেন, ‘সংবিধানের ৭০ নম্বর অনুচ্ছেদ এবং রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্যের বিষয়ে দীর্ঘদিনের আলোচনা হয়েছে। অর্থবিল এবং আস্থা ভোট ব্যতিত অন্যান্য ক্ষেত্রে সংসদ সদস্যদের স্বাধীন ভোটাধিকারের বিষয়ে সার্বজনীন ঐকমত্য তৈরি হয়েছে। তিনি তৃতীয়ত, জাতীয় সাংবিধানিক পরিষদ (এনসিসি) গঠনের প্রস্তাবের কথা উল্লেখ করেন, যা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। এনসিসি গঠিত হলে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নিয়োগসহ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে এর ভূমিকা থাকবে, যা রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য আনবে।’
নুর বলেন, ‘বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে গণঅধিকার পরিষদ তাদের অবস্থান পরিবর্তন করতে আগ্রহী, যদি ক্ষমতা কমিশনের মাধ্যমে কোনো বিষয়ে ঐকমত্য হয়।’