চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামের পাহাড়তলী থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র ও গুলিসহ এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছেন, ওই যুবক পেশাদার ছিনতাইকারী। থানা থেকে লুট করা অস্ত্র-গুলি নিয়ে তিনি ছিনতাই-ডাকাতি করে আসছিলেন।
বুধবার (১৮ জুন) গভীর রাতে নগরীর পাহাড়তলী থানার রাণী রাসমণি ঘাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার সাইদুর রহমান মাসুম (২৮) নগরীর পাহাড়তলী এলাকায় বসবাস করেন। অপরাধ জগতে ‘ব্লেড মাসুম’ নামে পরিচিত ওই যুবক একটি পুরনো ডাকাতির প্রস্তুতি সংক্রান্ত মামলারও আসামি বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পাহাড়তলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. বাবুল আজাদ সারাবাংলাকে জানান, বুধবার রাতে রানী রাসমণিঘাট ওভারব্রিজের নিচে চেকপোস্ট বসিয়ে পুলিশ সন্দেহভাজন যানবাহন ও ব্যক্তিদের তল্লাশি করছিল। রাত পৌনে ১টার দিকে মাসুম হেঁটে ওই চেকপোস্টের সামনে দিয়ে সাগরিকা চৌরাস্তার দিকে যাচ্ছিল। পুলিশ তাকে থামতে বলার পর সে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় ধাওয়া দিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এরপর তল্লাশি করে তার কাছ থেকে চার রাউন্ড গুলিভর্তি একটি সেভেন পয়েন্ট সিক্স টু (৭.৬২) এমএম পিস্তল এবং একটি খালি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়।
ওসি বাবুল আজাদ বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদে মাসুম জানিয়েছে, অস্ত্র ও গুলিগুলো গত বছরের ৫ আগস্ট পাহাড়তলী থানা থেকে লুট হয়েছিল। সে লুটের সঙ্গে জড়িত না থাকলেও পরে লুটপাটকারী এক চক্রের কাছ থেকে সেগুলো সংগ্রহ করে। এরপর থেকে সেগুলো নিজের হেফাজতে রেখে ছিনতাই করে আসছিল।’
নগরীর পাহাড়তলী, টোল রোড ও বন্দর এলাকায় পথচারী এবং পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে যাওয়া লোকজনের কাছ থেকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে সে একাধিক ছিনতাই করেছেন বলে ওসি জানান।
এর আগে, গত ১৬ জুন নগরীর কোতোয়ালি থানা থেকে লুট হওয়া পুলিশের একটি পিস্তল ও গুলি উদ্ধার হয় এক কাভার্ডভ্যান চালকের কাছ থেকে।
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয়। শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে যাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর সারাদেশে জনতা রাজপথে নেমে আসে।
ওইদিন বিকেল থেকে চট্টগ্রামসহ সারাদেশে পুলিশের বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি, পাহাড়তলী, পতেঙ্গা ও ইপিজেড থানা আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয় এবং লুটপাট করা হয় অস্ত্রাগার ও মালখানা। তবে গত দশ মাসে চট্টগ্রামে লুট হওয়া কয়েকটি অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।