ঢাকা: রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখতে অন্তর্বর্তী সরকারকে পরামর্শ দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বিশ্ব শরণার্থী দিবস উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে তিনি এ পরামর্শ দেন।
তারেক রহমান বলেন, ‘‘কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফসহ কয়েকটি স্থানে স্থাপিত হয়েছে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ শরাণার্থী শিবির, যেখানে ১৪ লাখের অধিক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী। তারা নিজ দেশের আবাস ছেড়ে দীর্ঘ আট বছর বাংলাদেশে শরণার্থী হয়েছে। রোহিঙ্গা সমস্যার সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী হচ্ছে বাংলাদেশ। এই সমস্যাকে এখন সবচেয়ে বড় মানবিক বিপর্যয় হিসাবে বিবেচনা করা হচ্ছে।’’
তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশের জনগণ তাদের সাধ্যমতো রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছে। এটি মানবতার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তবে এখন তাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে দিতে অন্তবর্তী সরকারকে গতিশীল কুটনৈতিক যোগাযোগের মাধ্যমে নিরাপদ প্রত্যাবাসনের অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে মানবিক কর্মকাণ্ড জোরদার করতে মিয়ানমারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখতে হবে।’’
তারেক রহমান বলেন, ‘‘বিশ্ববাসীর কাছে পরিস্কার বার্তা দিতে হবে রোহিঙ্গা সমস্যা অত্যন্ত গুরুতর। রোহিঙ্গাদের বর্তমান অবস্থা, তাদের নিয়ে বাংলাদেশ কী কী ধরনের সমস্যা মোকাবিলা করছে, মিয়ানমার কীভাবে তাদের বাস্তচ্যুত করেছে, প্রত্যাবাসনের নামে মিয়ানমার কীভাবে বারবার কথার বরখেলাপ করছে ইত্যাদি বিষয়াদি বর্তমান সরকারকে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে হবে।’’
রোহিঙ্গাদের যথাযোগ্য মর্যাদায় নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশ সরকার, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও বিভিন্ন দাতা সংস্থার প্রতি আহবান জানান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তিনি বলেন, ‘‘পৃথিবীর দেশে দেশে উদ্বাস্ত সমস্যা আজও ভয়াবহ ও অমানবিক। জাতিগত সহিংসতা ও রাজনৈতিক আদর্শগত কারণে সমাজবদ্ধ জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তাহীনতাই এর প্রধান কারণ। বিএনপি এই দিবসটির প্রতি পূর্ণ সংহতি জ্ঞাপন এবং বিশ্বব্যাপী নিজ দেশে জোরপূর্বক বাস্তচ্যুত মানুষদের মর্যাদা ও স্বদেশ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করার আন্তর্জাতিক উদ্যোগের প্রতি সক্রিয় সমর্থন অব্যাহত রাখার দৃঢ় প্রত্যয় ঘোষণা করছে।’’
তারেক রহমান আরও বলেন, ‘‘এই দিবস পালনের লক্ষ্য হল, সেইসব শরর্ণার্থীদের শক্তিকে স্বীকৃতি দেওয়া যারা দেশের সংঘাত ও নিপীড়ন থেকে পালিয়ে আশ্রয় খুঁজে পেতে এবং উন্নত জীবন-যাপনের আশায় অন্য দেশে যেয়ে থাকে। মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশিদেরও সেই করুণ অভিজ্ঞতা আজও আমাদের স্মৃতি থেকে মুছে যায়নি।’’