Thursday 19 Jun 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

হাসিনা-কাদের, আনিসুল-কামালসহ ১৬৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৯ জুন ২০২৫ ২১:৩৬ | আপডেট: ২০ জুন ২০২৫ ০০:৩৭

চট্টগ্রাম ব্যুরো: জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হামলার শিকার হয়ে দৃষ্টিশক্তি হারানো এক মাদরাসা ছাত্র চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এতে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ ১৬৭ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ জুন) রাতে ঢাকা সরকারি আলিয়া মাদরাসার আলিম বিভাগের ছাত্র সাইফুদ্দীন মুহাম্মদ এমদাদ মামলাটি দায়ের করেছেন।

খুলশী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আফতার হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, ‘গত বছরের আগস্টে আন্দোলনের সময় হামলার শিকার এক যুবক বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। এতে ১৬৭ জনের নাম আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তদন্ত করে এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

বিজ্ঞাপন

মামলায় সাবেক মন্ত্রী-এমপিদের মধ্যে আরও আছেন, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, সাবেক সংসদ সদস্য এম এ মোতালেব, নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারি, আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দীন নদভী ও এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী ও এম মনজুর আলম, সাবেক কাউন্সিলর জহরলাল হাজারী, শৈবাল দাশ সুমন ও বিজয় কিষাণ চৌধুরীর নামও আছে আসামির তালিকায়।

মামলায় কয়েকজন শিল্পপতিকেও আসামি করা হয়েছে। এরা হলেন- হামীম গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য এ কে আজাদ, পিএইচপি গ্রুপের চেয়ারম্যান সুফী মুহাম্মদ মিজানুর রহমান ও তার ছেলে আমির হোসেন সোহেল, ইকবাল হোসেন চৌধুরী ও আকতার পারভেজ চৌধুরী, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি মাহবুবুল আলম ও তার মেয়ে রাইসা মাহবুব এবং জিপিএইচ ইস্পাত লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলমাস শিমুল।

চারজন সাংবাদিকের নামও আছে আসামির তালিকায়। এরা হলেন- একুশে টেলিভিশনের সাবেক আবাসিক সম্পাদক রফিকুল বাহার, দৈনিক আমাদের সময়ের ব্যুরো প্রধান হামিদ উল্লাহ ও জ্যেষ্ঠ্য প্রতিবেদক মো. মহিউদ্দিন এবং ডিবিসি টেলিভিশনের ব্যুরো প্রধান মাসুদুল হক। তবে মামলার এজাহারে এদের সাংবাদিক পরিচয় উল্লেখ করা হয়নি।

এছাড়া জাতীয় পার্টির নেতা সোলায়মান আলম শেঠকেও আসামি করা হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামিরা আওয়ামী লীগ ও এর বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী।

মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, মাদরাসা ছাত্র সাইফুদ্দীন মুহাম্মদ এমদাদ গত ৪ আগস্ট চট্টগ্রাম নগরীর নিউমার্কেট মোড়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নেন। আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগ-যুবলীগের (বর্তমানে নিষিদ্ধ) সন্ত্রাসীরা গুলিবর্ষণ করলে তিনি মারাত্মক জখম হন। পায়ে আঘাতপ্রাপ্ত অবস্থায় পরদিন কারফিউ ভেঙ্গে নগরীর বাদুরতলায় মিছিল করার সময় একই সন্ত্রাসীদের আরেক দফা আক্রমণের শিকার হন। এতে তার চোখ-মুখসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে ছররা গুলির আঘাত লাগে।

আহত অবস্থায় তিনি প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, এরপর বেসরকারি শেভরণ হসপিটাল ও ঢাকার জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান হাসপাতাল এবং সর্বশেষ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। কিন্তু চিকিৎসার পরও তিনি তার ডান চোখের দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন এবং বাম চোখের দৃষ্টিও কমে আসছে বলে এজাহারে উল্লেখ করেছেন।

সারাবাংলা/আরডি/এসআর

আনিসুল হক আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ওবায়দুল কাদের চট্টগ্রাম জুলাই গণঅভ্যুত্থান মামলা শেখ হাসিনা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর